খরগোশ আর কচ্ছপ দুই বন্ধু। একই কলেজে পড়ে তারা। বন্ধু হলেও খরগোশ সব সময় কচ্ছপের ধীরে চলা নিয়ে খোঁচা দিয়ে কথা বলত। কচ্ছপ মুখ বুজে সব সহ্য করে নিত। অনেক চেষ্টা করেও সে দ্রুত হাঁটতে পারেনি। একদিন
খরগোশ ফেসবুকে শামুকের ছবি দিয়ে তাতে কচ্ছপকে ট্যাগ দিয়ে হাস্যরস করলে কচ্ছপ রেগে গিয়ে খরগোশকে দৌড় প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ জানায়। খরগোশও হাসতে হাসতে রাজি হয়ে যায়। দুজন মিলে ফেসবুকে একটা ইভেন্ট তৈরি করে ‘খরগোশ-কচ্ছপ প্রীতি দৌড় প্রতিযোগিতা’। ইভেন্টে মোট ১২১ জন ফ্রেন্ড জানায় তারা এই দৌড় দেখতে আসবে। প্রতিযোগিতার আমেজে খরগোশ তার প্রোফাইল পিকচারে দিল ক্ষিপ্র চিতাবাঘের ছবি আর কচ্ছপের প্রোফাইল পিকচারে স্থান পেল উসাইন বোল্টের ছবি।
নির্দিষ্ট দিনে দৌড় শুরু হলো। ১২১ জন ফেসবুক ফ্রেন্ড আসার কথা থাকলেও এল মাত্র দুজন। দৌড়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়ে খরগোশ ভাবল, কচ্ছপ ব্যাটা তো এখনো অনেক পেছনে। এই ফাঁকে কিছু ছবি তুলে ফেসবুকে দিলে মন্দ হয় না। যেই ভাবা সেই কাজ। খরগোশ তার স্মার্টফোন বের করে নিজে নিজে বেশ কিছু ছবি নিল। একটা ছবি দেখে মনে হলো সে প্রাণপণ দৌড়াচ্ছে, ক্যামেরার দিকে তার কোনো খেয়ালই নেই। সেই ছবি খরগোশ তত্ক্ষণাত্ ফেসবুকে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ছবিতে অনেক লাইক কমেন্ট আসতে থাকল। পাশে থাকা বটগাছের নিচে বসে খরগোশ হাসিমুখে একে একে সব কমেন্টের উত্তর দেওয়া শুরু করল, আর সেই ফাঁকে কচ্ছপ অনেক দূর এগিয়ে গেল। শেষ সীমা অতিক্রম করে তবেই কচ্ছপ স্ট্যাটাস দিল ‘এইমাত্র খরগোশকে হারিয়ে দৌড় জিতে গেলাম।’ কচ্ছপের স্ট্যাটাসে মোটে তিনটা লাইক পড়ল বটে, তবে কাজের কাজটা সে ঠিকই করে নিল।
মূল বাক্য: ফেসবুক অনেক সময় মূল্যবান সময় কেড়ে নেয়।