এই প্রথম দেশে কার্যকর সিমের গ্রাহক সংখ্যা দুইবার প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। নতুন হিসাবে আগস্ট মাসে আগের হিসাবের চেয়ে আরও ২০ লাখের বেশি সিম কমেছে।
সংশোধিত তথ্য অনুযায়ী, এক মাসেই মোট চালু সিম কমেছে এক কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার।
আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে প্রথমবার সচল সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯৬ হাজার দেখানো হয়। বেশ কিছু দিনের বিরতির পর সম্প্রতি ওই প্রতিবেদেনে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন করা হয়। নতুন তথ্যের হিসাবে এখন সচল সিম রয়েছে ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরের তথ্যটিই সঠিক। সেটি হলে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে সচল সিমের সংখ্যা কমেছে এক কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার, যা প্রথমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ৯১ লাখ ৪৩ হাজার।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আগস্ট মাসের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিটিআরসি। গত মাসে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনটি নিয়মিত সময়ের চেয়ে কিছুটা বিলম্বে প্রকাশ করা হয়। আর সর্বশেষ সংশোধিনীটি দেওয়া হয়েছে কয়েক দিন আগে।
সাধারণত বিটিআরসি পরের মাসের মাঝামাঝি সময়ে আগের মাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রথম প্রকাশিত আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে দেখানো হয় বড় চারটি অপারেটরেরই গ্রাহক কমেছে। সংশোধিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, টেলিটক ও সিটিসেলেরও গ্রাহক কমেছে আশংকাজনকভাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বায়োমেট্টিক সিমে প্রভাবে মোবাইল ফোন খাতের ওপর এমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আগস্টে গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমেছে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ও বাংলালিংকের ২৩ লাখ ৮৫ হাজার।
গ্রাহক বিচারে অপর শীর্ষ অপারেটর রবিও খেয়েছে বড় ধাক্কা। ওই মাসে তাদের গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার। তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে যাওয়া এয়ারটেলের গ্রাহক কমেছে ১৪ লাখ ১১ হাজার।
প্রথমে গ্রাহক কমেনি বলা হলেও পরে দেখানো হয়েছে, আগস্টে টেলিটকের গ্রাহক কমেছে ১৫ লাখ ১২ হাজার।
এক দফা বন্ধ হওয়ার আগের মাসে সিটিসেল হারিয়েছিল পাঁচ লাখ ২৬ হাজার গ্রাহক। আবার চালু হওয়া অপারেটরটির ওই মাসে সংযোগ ছিল এক লাখ ৪২ হাজার।