ইসলাম ডেস্ক : ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামায অন্যতম। আর নামায আদায়ের আগে অবশ্যই পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। এ জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা হল অযু করা। রাসূল (সা.) এর দেখানো পন্থায়ই সকল মুসলমানের অযু করা উচিৎ। তাহলে এবার আমরা জেনে নেই আমাদের নবী করীম (সা.) কিভাবে অযু করতেন?
নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِيْ أُصَلِّيْ (رواه البخاري) এর অর্থ হচ্ছে তোমরা সেভাবে নামায আদায় কর, যে ভাবে আমাকে নামায আদায় করতে দেখ। (বুখারী)
সুন্দর ও পরিপূর্ণভাবে ওযু করবেঃ আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনে যেভাবে ওযু করার নির্দেশ প্রদান করেছেন সেভাবে
ওযু করাই হলো পরিপূর্ণ ওযু। আল্লাহ্ সোবহানাহু ওয়াতা’আলা এ সম্পর্কে এরশাদ করেনঃ يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاةِ فاغْسِلُواْ وُجُوْهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُواْ بِرُؤُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ (سورة المائدة: 6)
অর্থঃ হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাযের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হও তখন (নামাযের পূর্বে) তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর এবং হাতগুলোকে কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও, আর মাথা মাসেহ কর এবং পাগুলোকে টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে ফেল। (সূরা আল-মায়েদাহঃ ৬)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃلاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغِيْرِ طَهُوْرٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُوْلٍ
অর্থঃ পবিত্রতা ব্যতীত নামায কবুল করা হয় না। আর খেয়ানতকারীর দান গ্রহণ করা হয় না।
ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে নামাযে ভুল করার কারণে বললেনঃ ِإذَا قُمْتَ إِلىَ الصَّلاَةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوْءَ
অর্থঃ তুমি যখন নামযে দাঁড়াবে (নামাযের পূর্বে) উত্তম রূপে ওযু করবে।
প্রত্যেক মুসলমান নারী ও পুরুষের উদ্দেশ্যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায়ের সুন্নাতী পদ্ধতি সম্পর্কে জানার এবং মানার তাওফিক দিন। আমীন।
-এমটিনিউজ