চলুন জেনে আসা যাক হাঙর সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
১)আফ্রিকা উপকুলের সাদা হাঙর প্রায় ৩ মিটার বা ১০ ফুট উপরে বাতাসে ঝাঁপ দিতে পারে।
২) হাঙর প্রায় ৪২০ মিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীর সাহর মহাসাগর এ রয়েছে।
৩)হিমশীতল জলে বসবাসকারী হাঙর তাদের অক্ষিকোটরের পাশে অবস্থিত একটি বিশেষ পেশী ব্যবহার করে তাদের চোখ গরম করতে পারে। যাতে এই তাপমাত্রাতেও শিকার ধরতে পারে।
৪) প্রায় ৫০ প্রজাতির হাঙরের লাইট ইমিটিং ফটোস্ফিয়ার অঙ্গ রয়েছে যা ব্যবহার করে তারা ছদ্দবেশ ধারন করতে পারে।
৫)কিছুকিছু হাঙর আরেক হাঙর কে খেয়ে ফেলে। এমন কি হাঙরের ছোট ভাই-বোনদেরুও খেয়ে ফেলে। একে স্বজাতি ভক্ষণ বলা হয়।
৬) হাঙর এর একধরনের খাদ্য অভ্যাস রয়েছে। যা চাঁদ ওঠার উপর নির্ভর করে।
৭)পিগমি হাঙর হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষুদ্র হাঙর। এর দৈর্ঘ্য ৬.৭ ইঞ্চি বা ১৭ সেন্টিমিটার।
এদের স্পেশাল আলো সৃষ্টিকারী অঙ্গ রয়েছে। যার সাহায্যে তারা মাইলের অর মাইল ডুব দিয়ে শিকার করতে পারে।
৮) হাঙরের সংবেদনশীল অঙ্গ রয়েছে। যারা সাহায্যে তারা তরঙ্গ তৈরি করতে পারে।
৯) হাঙরের ঘ্রাণগ্রহণের অভুতপুর্ব অনুভুতি রয়েছে। বলা হয়ে থাকে অলেম্পিক এর একটা বিশাল পুকুরেও যদি এক ফোঁটা রক্ত থাকে,তবে হাঙর তার ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে তা বেড় করতে পারবে।
১০) Rhincodon typus নামক প্রজাতির হাঙ্গর হল বৃহত্তম মাছ যারা প্রায় ১২ মিটারের (প্রায় ৪০ ফিট) মত লম্বা হতে পারে। এগুলো তিমি হাঙ্গর নামে পরিচিত।
১১) এদের ডানার কঙ্কাল অনেক দীর্ঘ এবং এক ধরণের নরম ও অবিচ্ছিন্ন রশ্মি দ্বারা ঠেস দেয়া থাকে। এই রশ্মির নাম সেরাটোট্রিকিয়া।
১২) এদের চুল এবং পালকের মধ্যে শৃঙ্গের মত কঠিন কেরাটিন সজ্জিত করে গঠিত স্থিতিস্থাপক প্রোটিনের ফিলামেন্ট থাকে।
পুরুষ হাঙ্গরের পেলভিক ডানার ভিতরের অংশ পরিবর্তিত হয়ে এক জোড়া সিগার বা সসেজে পরিণত হয়েছে। এরাই জননাঙ্গ গঠন করে যার অপর নাম “ক্ল্যাসপার”। ক্ল্যাসপারের মাধ্যমেই অন্তর্নিষেক সাধিত হয়।
সুত্রঃ ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।