

More Than Blue 2009
Language: Korean
নীল রং নাকি কষ্টের প্রতীক।সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কষ্টগুলোর একটা কাউকে প্রচণ্ড ভালোবাসার পরেও তাকে না পাওয়া।কোরিয়ান রোমান্টিক মুভি মানেই অনেক আবেগ মিশানো কোন গল্প।এটাও সেরকম একটা মুভি।হলিউড,বলিউড,বাংলা,সাউথ,টিভি সিরিজ দেখতে দেখতে কোরিয়ান মুভি থেকে অনেকদিন দূরে ছিলাম।আর এটা দেখে আরো একটা মনে রাখার মতো মুভি দেখলাম।
‘K’ এর বাবা ক্যানসারে মারা গেছে।তার মাও তাকে ছেড়ে চলে গেছে।বলা যায় সে একজন অরফান।অন্যদিকে ক্রিমের বাবা মা আর তার বোন গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায় ছোটবেলায়।সেও অরফান।কে এর সাথে ক্রিমের পরিচয় স্কুল লাইফে থাকার সময়।তাদের মধ্যে অনেক মিল থাকে।একে অন্যকে পছন্দ করে।এরা তারপর লিভ টুগেদার করা শুরু করে।ওদের দেশে এটা হয়ত স্বাভাবিক ব্যাপার।
কে ক্রিমকে মনে মনে ভালোবাসলেও তাকে বলতে পারেনা।কারণ বাবার মতো তার শরীরেও ক্যানসার বাসা বেঁধেছে।সে যেকোন সময় মারা যেতে পারে।তাই একসাথে অনেক বছর থাকলেও ক্রিমকে কখনো মনের কথা বলতে পারেনি।তার রোগের কথাও জানায়নি।ক্রিমের সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে একাকীত্ব।তাই সে ক্রিমকে বলে ভালো এবং সুস্থ লোক দেখে বিয়ে করে সংসারী হতে।
একদিন ক্রিম এসে কে এর কাছে বলে সে তার পছন্দের মানুষকে খুঁজে পেয়েছে।সে এক ডেন্টিস্টকে পছন্দ করে।কে তখন ওই ডেন্টিস্ট ডাক্তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তার সাথে এক মহিলার এংগেজমেন্ট হয়ে আছে।কে তখন ওই মহিলার কাছে গিয়ে ক্রিম আর সেই ডেন্টিস্টের কথা বলে সাথে তার রোগের কথাও বলে।মহিলাকে অনুরোধ করে এংগেজমেন্ট বাতিল করতে।মহিলাটি একটি শর্তের বিনিময়ে রাজি হয়।এরপর ক্রিমের সাথে ওই ডাক্তারের বিয়ে ঠিক হয়।
কিন্তু কে আর ক্রিমের ভালোবাসা কি একমুখী ছিল?শুধু কে ই কি ক্রিমকে ভালোবাসত?তাহলে এত বছর একসাথে এরা থাকে কিভাবে?এতক্ষণ শুধু কে এর কথাই বললাম।ক্রিমেরও ছিল কে এর প্রতি ভালোবাসা যা এতক্ষণ পর্যন্ত বলে আসা কাহিনীর মধ্যেই ছিল।কিভাবে ছিলো সেটাই দেখতে পাবেন মুভির শেষের দিকে।শেষের আধা ঘন্টার মতো সময় ছিল মুভির সবচেয়ে ইমোশনাল অংশ।
কোন মুভি ভালো লাগলে সবার অভিনয়ই ভালো লাগে।কিন্তু রোমান্টিক মুভিতে ক্যানসার এক্সিডেন্ট এগুলো খুব ক্লিশে হয়ে গেছে এখন।তারপরেও বলবো এটা মনে রাখার মতো একটা মুভি।









