২০১৪ তে যখন রিলিজ হয় তখন এটা দেখে ১০ মিনিট টিকতে পারছিলাম।মনটা একটু খারাপ থাকায় এটা দেখতে বসছিলাম আর ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলাম।এরকম একটা মাস্টারপিস মুভি দুই বছর না দেখে থাকা আসলে উচিত হয়নি।মুভিতে কি আছে যা একে মাস্টারপিসের মর্যাদা দিয়েছে?
-ছোটবেলায় আমরা গাইড বইয়ে একের ভিতর তিন-চার-পাঁচ বা অনেক লেখা দেখলেও ফারাহ খান আমাদের একের ভিতর কমপক্ষে ছয়টা মুভি দেখিয়েছেন।কমপক্ষে বললাম কারণ আরো হয়ত দেখিয়ে থাকতে পারেন আমি ধরতে পারিনি।কিভাবে দেখিয়েছেন?ডায়লগগুলো শুনলে আপনার একবার মনে হবে ডিডিএলজে দেখছেন,আরেকবার মনে হবে দেবদাস দেখছেন,আবার মনে হবে ডন,ম্যায় হু না,চাক দে ইন্ডিয়া বা ওম শান্তি ওম দেখছেন।আজকের দুনিয়ায় একটা মুভির সাথে ফ্রিতে আরো ছয়টা মুভি কে দেখায়?
-ইংলিশ কথা বলতে দেখলে কোন মেয়ে পটে যায় এই মুভিতে প্রথমবারের মতো দেখতে পারবেন।দীপিকা পাড়ুকোন শাহরুখ খানের ইংরেজিতে ডায়লগ দেওয়া দেখে গলে গেছেন এই দৃশ্য দেখে আপনার আবেগে চোখে পানিও চলে আসতে পারে।
-প্রায় ৬০ বছর বয়সী হ্যান্ডসাম বোমান ইরানীর উপর ক্রাশ খেয়ে আশি বছর বয়সী যুবতীদের দৌড়াদৌড়ি দেখতে পারবেন।এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য আর কোন মুভিতে নাও পেতে পারেন।
-ভিলেনরা মারামারি করতে আসলে এদের আপনার কাছে দেখতে ছেলে মনে হলেও নামগুলো থাকবে মেয়েদের।এমন ব্যাতিক্রম জিনিস আর দেখবেন কবে তার ঠিক নেই।
-শুধুমাত্র Enter বাটনে চাপ দিয়ে কিভাবে হ্যাক করা যায় তা এই মুভিতে দেখতে পারবেন।হ্যাকারদের কাছে অনুপ্রেরণামূলক মুভি হতে পারে এটি।
-এই মুভির কাস্টিং ছিল অসাধারণ।মুভি খারাপ হলেও যাতে নিজের উপর দোষ না পরে তাই কাস্টিংয়ে ফারাহ খান রেখেছেন অভিষেক বচ্চনকে।তাও একবার নয় দুদুবার করে রেখেছেন মানে দ্বৈত চরিত্রে।কিন্তু ছোট বচ্চন অস্কার জয় করার মত অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন।মুভিও হয়েছে মাস্টারপিস।
তাই এই অসাধারণ মাস্টারপিস মুভিটি এখনো যদি কেউ মিস করে থাকেন দেরি না করে দেখে ফেলুন।