টাইটানিক সম্পর্কে কম-বেশি সকলেরই ধারণা রয়েছে। টাইটানিক এর তৈরি ও ডোবার কাহিনী সকলেই জানে। ১৯১২ সালের ১৪ই এপ্রিল রাত ১১.৪০ এ একটি বরফের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে জাহাজটি তলিয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেও রয়েছে অজানা তথ্য।জেনেনিন এরকম পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য:-
১. লাইফ বোট ড্রিল বাতিল করা হয়েছিল
যেদিন টাইটানিকের দুর্ঘটনাটি ঘটে অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল এ টাইটানিকের সাথে একটি লাইফ বোট ড্রিল দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোন এক অজানা কারনে ক্যাপ্টেন স্মিথ ড্রিলটি বাতিল করে দেন। অনেকেই মনে করেন যদি লাইফ বোট ড্রিলটি থাকত তাহলে সেদিন আরও অনেক মানুষকে বাঁচান যেত।
২. কিছু সেকেন্ড
টাইটানিকটি বরফে ধাক্কা লাগার মাত্র ৩৭ সেকেন্ড আগে অফিসাররা তা দেখতে পায়। তারা ক্যাপ্টেনকে অ্যালার্ট করার জন্য আসেন এবং জাহাজটিকে বামদিকে ও পিছনের দিকে নিতে বলেন। তারা জাহাজটিকে বামদিকে নিতেও সামর্থ্য হয় কিন্তু শেষ রক্ষা হইনি।
৩. টাইটানিকের খবরের কাগজ
জাহাজটিতে প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকার পাশাপাশি নিজস্ব একটি খবরের কাগজ ও ছিল। যা প্রতিদিনই প্রকাশ করা হত। খবরের কাগজটি জাহাজেই ছাপানো হত। যাতে প্রতিদিন সংবাদপত্রের খবর, বিজ্ঞাপন, স্টক মূল্য, ঘোড়ার দৌড় ফলাফল, সমাজ পরচর্চা এবং জাহাজের প্রতিদিনের মেনু তালিকা ছাপানো হত।
৪. মাত্র দুইটি বাথটব
বেশিরভাগ প্যাসেঞ্জারকেই বাথরুম শেয়ার করে ব্যাবহার করতে হয়েছিল। জাহাজের প্রথম শ্রেণীর লোকজনের জন্য নিজস্ব বাথরুমের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু যারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে ছিল তাদের জন্য নিজস্ব কোন বাথরুমের ব্যবস্থা ছিল না। ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মাত্র দুইটি বাথটব ব্যাবহার করত।
৫. টাইটানিকের পাশেই আরেকটি বোট ছিল
টাইটানিকটি যখন ডুবতে শুরু করে, তখন বারবার সিগন্যাল প্রদান করছিল। কিন্তু তখন সাহায্যের জন্য আশেপাশে কোন বোট দেখা যায়নি। কিন্তু, সেদিন রাতে ১২.৪৫ এ টাইটানিকের যাত্রীরা আকাশে বিভিন্ন রকমের আলো দেখতে পান। তখন তারা ক্যাপ্টেন কে জানানোর চেষ্টা করলে, ক্যাপ্টেন কোন আদেশ প্রদান করেননি। কারন, জাহাজের ওয়্যারলেস অপারেটর কোন সিগন্যাল প্রদান করতে পারেন নি। সকাল পর্যন্ত ওই বোটটি টাইটানিকের দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেনি। রাতেই বুঝতে পারলে আরও অনেককে বাঁচানো যেত।
এত বছর পেরিয়ে যাবার পরও টাইটানিক নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কোন শেষ হইনি। এখনও এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন বিচার-বিশ্লেষণ।