

যা যা লাগবে—
১। ফোলানো বেলুন
২। লম্বা সরু মুখের বাঁশের কাঠি
৩। পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিকুইড সাবান
যেভাবে করবো—
একটা ফোলানো বেলুন নিবো। এবার সরু মুখের কাঠিটির মুখে একটি পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিকুইড সাবান মেখে কাঠিটি বেলুনের একদম শীর্ষ বরাবর ঢুকিয়ে দিবো। শীর্ষ বরাবর যদি না ঢুকাই তাহলে বেলুনের খোলা মুখের গিঁটের কাছে ঢুকাতে হবে। আস্তে আসতে ঢুকাতে থাকলে দেখা যাবে বেলুনটিকে মোটেই ফাটছে না। বরং কাঠিটা খুব সহজেই ঢুকে যাচ্ছে!
কেন এমন হলো?
খুবই জরুরী প্রশ্ন। এমনিতে তো সব সময় সরু কিছুর খোঁচা লাগলেই বেলুন ফেটে যায় এখন কেন ফাটলো না? বেলুন সাধারণত অনেকগুলো পলিমার চেইন দিয়ে গঠিত হয়। খেয়াল করো আমরা কিন্তু বেলুনের একদম উপরের অথবা নিচের অংশে লম্বালম্বি ভাবে কাঠিটি ঢুকিয়েছি। তা না করে আমরা যদি বেলুনের মাঝের অংশে আড়াআড়ি ভাবে কাঠিটি ঢুকাতাম তাহলে অবশ্যই বেলুনটি ফেটে যেতো। কারণ এই অংশের পলিমার চেইনগুলো তাদের সম্প্রসারণ ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থায় আছে। খোঁচা দেওয়ার ফলে ভিতরের দিকে যে অতিরিক্ত সম্প্রসারণ হয় সেটি এই অংশ নিতে পারে না এবং ফেটে যায়।
উপরে এবং নিচের অংশে দেখবে কিছুটা গাঢ় অংশ ফোলানোর পরেও থেকে যায়। এ অংশগুলোতে পলিমার চেইনগুলো আরও কিছু চাপ নেওয়ার মতো সংকুচিত অবস্থায় থাকে। এখন যদি কাঠির মাথায় একটু লিকুইড সাবান বা পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে দাও তাহলে সেটি লুব্রিকেন্টের মতো কাজ করে এই পীড়নকে মসৃণ করে দিবে। তাই বেলুন ফাটবে না।
এখন এই জাদু বন্ধুদেরকে দেখাও এবং তাদের অবাক করে দাও।