আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ রাত ১২টার মধ্যে যেসব সিম পুনর্নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো আগামীকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।
আর বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব সিম চালু করতে চাইলে এখন থেকে একজন গ্রাহককে গুনতে হবে ১৫০-২০০ টাকা।
তবে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে বিটিআরসি বলছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করা যাবে। এ জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। গতকাল সোমবার বিষয়টি মুঠোফোন অপারেটরদের জানিয়ে এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে সিম নিবন্ধন না করার জরিমানা হিসেবে ব্যবহারকারীদের বাড়তি এ অর্থ দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগের কঠোর অবস্থান কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এত দিন বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ছিল, আগামীকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো আগামী দুই মাস পর্যন্ত জব্দ (ফ্রিজ) অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী এত দিন সিমটি ব্যবহার করে এসেছেন, তিনি আগামী দুই মাস পর্যন্ত সেটি নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু করার সুযোগ পাবেন না।
দুই মাস সময় পার হওয়ার পর নির্ধারিত নিয়মে অর্থাৎ ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে সিমটি আবার চালু করা যাবে—এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সংযোগ কিনতে অপারেটর ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দাম রাখা হয়। এর মধ্যে সরকার সিম কর হিসেবে ১০০ টাকা পায়। বাকি অর্থ সিমের মূল্য হিসেবে অপারেটররা পেয়ে থাকে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার সিম নিবন্ধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট চালু থাকা সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
সে হিসেবে গতকাল পর্যন্ত চালু থাকা সিমের ৭৯ শতাংশ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন-প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রথমে নিবন্ধনের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হলেও পরে তা এক মাস বাড়িয়ে ৩১মে করা হয়।