রান তাড়া করতে নেমে রাজস্হানের ১২০ বলে ২০২ রানের জয়ের লক্ষ্য ১২ বলে নেমে দাঁড়িয়েছে ২০। আক্রমণে ফেরা হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ১৯তম ওভারের প্রথম বল স্কোয়ার লেগে তুলে মারতে গিয়ে আউট ধ্রুব জুরেল। সিংগেলস নিয়ে আর. অশ্বিন রোভমান পাওয়েলকে স্ট্রাইক দিলে ক্যারিবীয় হার্ডহিটার তিন বল ডট দেয়ার পর শেষ বলে ছক্কা হাকিয়ে ৬ বলে ১৩ রানের সমীকরণে নামিয়ে আনেন লক্ষ্যকে।
ভুবনেশ্বর কুমারের করা শেষ ওভারের প্রথম ৫ বলে ১১ রান তুলে নেন পাওয়েল-অশ্বিন। ১ বলে চাই ২ রান। কিন্তু ভুবনেশ্বরের ইয়র্কার ব্যাটে লাগাতে পারলেন না পাওয়েল। এলবিডব্লু। ১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এবারের আসরে এটাই সবচেয়ে কম রানে জয় হায়দরাবাদের। এর আগে ২ রানে ম্যাচ জিতেছিল তারা। ৬ ম্যাচে আগে ব্যাট করে সেই রান পন্চমবার রক্ষা করলো কামিন্সরা। অন্যদিকে রান তাড়ায় এবার এই প্রথম হারলো রাজস্হান। এটা তাদের দ্বিতীয় হার। ৮ জয়ে শীর্ষেই রইলো তারা। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্হানে উঠে এলো হায়দরাবাদ।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বরের বলে জস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসনকে হারানো রাজস্থান পড়তে পারত আরও বড় বিপদে। যশস্ব জয়সোয়াল চতর্থ ওভারের ক্যাচ দিয়েও রাজস্থানের ২১/২ স্কোরের সময়। ষষ্ঠ ওভারে রিয়ান পরাগের ক্যাচ মিস হওয়ার সময় ২ উইকেটে ৫৮ রান ছিল তাদের।
‘জীবন’ পেয়ে জয়সোয়াল ৪০ বল খেলে ৭ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ৬৭ রান। আর পরাগ আউট হওয়ার আগে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৪৯ বলে করেছেন ৭৭ রান। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছু করতে পারেননি বলেই হারতে হয়েছে রাজস্থানকে।
এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০১ রান পেরোতে পেরেছেন মূলত তিনজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। ফিফটি করেছেন ট্রাভিস হেড ও নীতিশ কুমার। আর ১৯ বলে ৪২ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন হেইনরিখ ক্লাসেন।