আইপিএলের ম্যাচে ঘন্টায় দেড়শ কিলোমিটার গতির ঝড় তুললেন ম্যাচে। যার মধ্যে একটি ডেলিভারিতো ছিল ঘন্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটারের। মায়াঙ্কের গতিতে লন্ডভন্ড হয়ে উড়ে যেতে হয়েছে পাঞ্জাব কিংসকে। ম্যাচসেরার পাশাপাশি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে এনে দিয়েছেন আসরের প্রথম জয়।
চার ওভারের স্পেলে ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন মায়াঙ্ক। আইপিএল অভিষেকের প্রথম বলটিই ছিল ১৪৭ কি.মি প্রতি ঘন্টার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই করেন ঘন্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিটি। এবারের আইপিএলের সবচেয়ে গতিময় বল এটিই।
প্রতিক্রিয়ায় মায়াঙ্ক বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি আমার অভিষেক এত ভালো হবে। শুনেছিলাম অভিষেকের সময় সবার স্নায়ুচাপ থাকে। প্রথম বল করার পর সেই অনুভুতি দূর হয়ে যায়। পরিকল্পনা ছিল স্টাম্পে বল করা ও যতটা সম্ভব গতি ব্যবহার করা।’
দিল্লিতে বেড়ে ওঠা মায়াঙ্ক তা যথার্থই করতে পেরেছেন। তার ঘন্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার গতির বলটি আইপিএল ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ দ্রুতগতির ডেলিভারি। আইপিএলে ১৫৭.৭১ কি.মি/ঘন্টা গতিতে সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারিটি করার কীর্তি অস্ট্রেলিয়ার শন টেইটের।
লক্ষ্ণৌর দেওয়া ২০০ রান তাড়ায় ১২ ওভার শেষে বিনা উইকেট ১০২ রান ছিল পাঞ্জাবের। এই পরিস্থিতিতে দলের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে খেলা পাল্টে দেন মায়াঙ্ক।
পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানও প্রশংসা করেন মায়াঙ্কের গতির। শেষ পর্যন্ত ২১ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ। ২০২২ সালের মেগা নিলামে ২০ লাখ রুপিতে মায়াঙ্ককে দলে নেয় লক্ষ্ণৌ। তবে ইনজুরির কারণে গত দুবছর বসে কাটাতে হয় মায়াঙ্ককে।
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর