টাইমড আউট উদযাপন নিয়ে যা বললেন লঙ্কান অধিনায়ক

শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ এবং টানটান উত্তেজনা । যদিও এমন পরিস্থিতি এবারই নতুন নয়, ২০১৮ সালের নিদহাস ট্রফি থেকে উত্তেজনাপূর্ণ এই আমেজ দেখা যাচ্ছে। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইমড আউট করার পর দুই দলের দ্বৈরথ যেন আরও বেড়েছে । তাই তো টাইগারদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর টাইমড আউট উদযাপন করেছিল সফরকারীরা।

এদিকে বাংলাদেশও কম যায় না। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লাল-সবুজের দল। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতার পর লঙ্কানদের টাইমড আউট উদযাপনের জবাবে মুশফিকুর রহিম সেদিন করেছেন হেলমেট উদযাপন।

এদিকে দুই দলের এই দ্বৈরথের পরের পর্বে কি হতে পারে? টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল সিলেটে মাঠে নামবে দুই দল। এর আগে আজ লঙ্কানদের টেস্ট অধিনায়ক ধনঞ্জায়া ডি সিলভার কাছে জানতে চাও্যা হয়েছিল, কি থাকছে পরের পর্বে? জবাবে ধনঞ্জায়া বলেন, ‘জেতার পর দেখা যাবে।’

এদিকে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টেস্ট সিরিজ জয়ের লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে টেস্ট সিরিজ জেতা। আর আমরা এই ব্যাপারে আশাবাদী। এটা কন্ডিশনের ব্যাপার না, আপনি কীভাবে খেলছেন সেটাই আসল। আমরাও ভালো ছন্দে রয়েছি। দেখে মনে হচ্ছে সবুজ উইকেট হবে; কাল আবার দেখতে হবে। কিন্তু এখন অবধি মনে হচ্ছে সবুজ উইকেট। ’

সংবাদ সম্মেলনে ধনাঞ্জয়ার কাছে তারকা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার টেস্টে অবসর ভেঙে ফেরার বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গ উঠতেই পাশা থাকা লঙ্কান ম্যানেজার মাহিন্দা হালানগোদা ধনাঞ্জয়ার কানে কিছু একটা বলেন। এরপর বিশ্বকাপের ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে হাসারাঙ্গার এমন সিদ্ধান্ত কি না, তার জবাব দেন লঙ্কান অধিনায়ক, ‘আসলে তথ্যটা ভুল। হাসারাঙ্গা আমাদের চিঠি দিয়েছিল যে সে তার সিদ্ধান্ত বদলেছে, সে টেস্ট খেলতে চায়। চিঠিটা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আছে। নির্বাচকরা পরে চিন্তা করেছে তাকে টেস্ট সিরিজের দলে নেবে। এটা ওই ঘটনার (নিষেধাজ্ঞার) সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।’

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ওয়ানডেতে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে শাস্তি পান হাসারাঙ্গা। ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয় তার নামের পাশে। ২ বছর ব্যাপ্তির মধ্যে ৮টি ডিমেরিট পেয়ে তাকে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, দুটি টেস্ট বা চারটি ওয়ানডে বা চারটি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হচ্ছেন হাসারাঙ্গা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের পর লঙ্কানরা বিশ্বকাপে খেলবে। তাই টেস্ট দলে না ফিরলে বিশ্বকাপের চার ম্যাচ মিস করতেন লঙ্কানদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। কিন্তু টেস্ট দলে নাম লিখিয়ে সেই বিপদ থেকেই বাঁচলেন হাসারাঙ্গা। নিষেধাজ্ঞা কাঁটা যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট দিয়ে।