শেখ মেহেদির অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিকে প্রাইম ব্যাংকের নাটকীয় জয়

ক্রিকেট দুনিয়া March 17, 2024 1,521
শেখ মেহেদির অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিকে প্রাইম ব্যাংকের নাটকীয় জয়

সিটি ক্লাবের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভরসা রাখলেন শেখ মেহেদির ওপর। তার হাতেই তুলে দিলেন বল। তবে প্রথম তিন বলে ১১ রান দিয়ে যেন ম্যাচটাই হাতছাড়া করে ফেলেছিলেন ডান হাতি অফ স্পিনার। অনেক সমর্থক হয়তো এই স্পিনারকে গালমন্দ করাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু নাটকীয়তার বাকি ছিল তখনও। আর সেটাই করে দেখালেন মেহেদী শেষ তিন বলে। পরপর ফেরালেন সিটি ক্লাবের তিন লোয়ার অর্ডার ব্যাটারকে। তাতে হ্যাটট্রিক তুলে নিয়ে প্রাইম ব্যাংককে নাটকীয় এক জয় উপহার দিলেন তিনি।


বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০৫ রান করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সেই রান তাড়া করতে নেমে লক্ষ্যে প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিল সিটি ক্লাব। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। প্রথম তিন বলে ১১ রান তুলে জয়ের পথেই ছিল সিটি ক্লাব। শেষ তিন বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। কিন্তু ওই তিন বলে মেহেদী তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করে ফেলেন। আর তাতেই প্রাইম ব্যাংক দারুণ এক জয় পেয়ে যায়।


বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করে ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ও ঈমন। তামিম ৬ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর জাকির হাসান ও ঈমন মিলে গড়েন ১৫৭ রানের জুটি। জাকির ৭৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কয় ৭৯ রান করে আউট হন। ঈমন সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আগের ম্যাচে ১৫১ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার আজ খেলেছেন ১০০ রানের ইনিংস। জাকিরের হাফ সেঞ্চুরি ও ঈমনের সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংক নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে। ঈমন ১১৪ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন ৪২ ও শেখ মেহেদী ১৮ রান করে অবদান রাখেন।


সিটি ক্লাবের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ৬৮ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন।


৩০৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে সিটি ক্লাবের দুই ওপেনার সিদ্দিকুর রহমান ও জয়রাজ শেখ মিলে ৬০ রানের জুটি গড়েন। সিদ্দিকুর ৩৫ রানে আউট হওয়ার পর শাহরিয়ার কমলের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন জয়রাজ। হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরপরই আউট জয়রাজ। স্কোরবোর্ডে আরও ৪৬ রান যোগ হওয়ার পর কমল আউট হন ৬৬ রানে। তবে সিটি ক্লাবকে জয়ের স্বপ্ন দেখান অধিনায়ক সাজ্জাদ হক শিপন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল দলটি।


শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে সাজ্জাদ তুলে নেন ১১ রান। জয়ের জন্য মাত্র প্রয়োজন ৪ রানের। পার্থক্য গড়ে দেন মেহেদী। তার চতুর্থ বলে লম্বা শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় সাজ্জাদকে। তারপরও জয় সম্ভব ছিল। কিন্তু মেহেদীর ভেলকিতে পরের দুই বলেও উইকটে হারায় সিটি ক্লাব। আর তাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানে থেমে যায় সিটি ক্লাবের ইনিংস। ৩৭ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংসটি খেলেন সাজ্জাদ।


মেহেদী ৮৬ রান দিলেও শেষ ওভারের ভেলকিতে ম্যাচ সেরা হন। ১০ ওভারে উইকেট শিকার করেন চারটি।