প্লে অফের আগে বাদ পড়ার শঙ্কা ছিল যাদের তারাই কিনা শেষ পর্যন্ত জিতল বিপিএলের দশম শিরোপা । এক জয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হারলেও শেষ পর্যন্ত বিপিএলের ট্রফি ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে ফরচুন বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পাওয়া জয়ে ট্রফিটি বরিশালের প্রথম। শিরোপা জেতার মঞ্চে বরিশালের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত পুরস্কার পাওয়ার দৌড়েও আধিপত্য দেখিয়েছেন।
এবারের আসরে দুর্দান্ত ঢাকা বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্ব থেকে। গ্রুপপর্ব পর্যন্ত খেললেও দলের ওপেনার নাঈম শেখ জিতেছেন সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার ও ৩ লাখ টাকা । ১২ ম্যাচে ৮টি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।
এবারের আসরটা দারুণ কেটেছে দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামেরও। দল ভালো না করলেও বল হাতে তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করেন এ পেসার। এরমধ্যে প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন তিনি। ফলস্বরূপ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির পুরস্কার ও ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন শরিফুল।
দশম আসরের ফাইনাল সেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার কাইল মেয়ার্স। বরিশালের এই ক্রিকেটার ফাইনালে বল হাতে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে খেলেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস। শুধু ফাইনালই না, টুর্নামেন্টজুড়েই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা ।
টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বরিশালের দলপতি তামিম ইকবাল। ট্রফি জেতার পাশাপাশি তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। ১৫ ম্যাচে ১২৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৯২ রান করেছেন তিনি। ফাইনালে তার ব্যাট থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রান। তামিম প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়াতে পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা ।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন দল ফরচুন বরিশাল পেয়েছে ২ কোটি টাকা আর রানার-আপ দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেয়েছে ১ কোটি টাকা ।
প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট: তামিম (১০ লাখ টাকা)
ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়: কাইল মেয়ার্স (৫ লাখ টাকা)
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক: তামিম (৫ লাখ টাকা)
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক: শরিফুল (৫ লাখ টাকা)
টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার: নাঈম শেখ (৩ লাখ টাকা)
রানার-আপ দল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১ কোটি টাকা )
চ্যাম্পিয়ন দল: ফরচুন বরিশাল (২ কোটি টাকা)