বৃথা গেলো লিটনের ঝড়, সিলেটের কাছে হারল কুমিল্লা

ক্রিকেট দুনিয়া February 19, 2024 1,844
বৃথা গেলো লিটনের ঝড়, সিলেটের কাছে হারল কুমিল্লা

শেষ ৩০ বলে কুমিল্লার দরকার ছিল ৬১ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন দাস ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিকে টেনে নিলেন আরও অনেকখানি। কিন্তু জনসন চার্লস খোলস ভাঙতে পারলেন না, মঈন আলি ফিরলেন শূন্য হাতে। তারা বল নষ্টের পর শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের আগ্রাসন যথেষ্ট হলো না। সামিত প্যাটেল-শফিকুল ইসলামের দারুণ কিছু নিয়ন্ত্রিত ওভারের সুবাদে জয় তুলে নিল সিলেট স্ট্রাইকার্স।


সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। নির্ধারিত ওভারে ১৬৫ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। এতে ১২ রানের জয় পায় সিলেট।


জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। শুরুতে ৫ বলে ৩ রান করে এই ম্যাচে ওপেন করতে নামা ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটে ১৫ বলে ১৭ রান করেন তাওহীদ হৃদয়। আরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।


এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি ক্যারিবিয়ান তারকা ব্যাটার জনসন চালর্স। ২১ বলে ১২ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। কিন্তু ব্যাট চালিয়ে ব্যাট চালিয়ে ৩২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৫ বলে শূন্য রান করে আউট হন মঈন আলী।


এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে লিটন। শেষ ১২ বলে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৭ রান। এ সময় ব্যাটিংয়ে ছিলেন লিটন দাস ও আন্দ্রে রাসেল। ১৯তম ওভারে এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ১২ রান তুলতে পারে রাসেল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫ রান।


কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন লিটন। ৫৮ বলে ৮৫ রান করে প্লে-ডাউনে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। পরের বলে পিচে এসে ছক্কা মারেন জাকের আলী। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে যান রাসেল। লক্ষ্য তিন বলে তিন ছয়। কিন্তু কোনো রান পাননি তিনি। পঞ্চম বলে চার মারলেও ম্যাচ থেকে যায় কুমিল্লা।


শেষ বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৪ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন রাসেল। এতে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। ফলে ১২ রানের জয় পায় সিলেট।


সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়াও আরিফুল ইসলাম, শাফিকুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট নেন।


এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু করেন মাত্র ২ ম্যাচের জন্য বিপিএলে যোগ দেওয়া কেনার লুইস। তবে সমান দুই চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রানে বিদায় নেন এই ক্যারিবিয়ান।


এরপরই শুরু হয় মূল বিপর্যয়। ১৮ রানে জাকির হাসান ও ১২ রানে টাইগার দলপতি শান্ত সাজঘরে ফেরার পরই চাপে পড়ে সিলেট। এরপর ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলীও সুবিধা করতে পারেননি। ৫ বলে মাত্র ২ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।


পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন বেনি হাওয়েল ও মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর ২০ বলে ২৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক মিঠুন।


তবে একপ্রান্ত দাঁড়িয়ে রানের চাকা এগিয়ে নেওয়া হাওয়েল ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। তার ৬ চার ও ৪ ছক্কার অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সিলেট।


কুমিল্লার হয়ে সুনীল নারাইন ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।