আফিফকে প্রশংসায় ভাসালেন প্রোটিয়া তারকা ওয়েন পারনেল

ক্রিকেট দুনিয়া February 17, 2024 2,893
আফিফকে প্রশংসায় ভাসালেন প্রোটিয়া তারকা ওয়েন পারনেল

শুক্রবার দুর্দান্ত ঢাকার দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য ২৮ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় খুলনা। লক্ষ্যতাড়ায় শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারালেও আফিফ হোসেনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে অনেক সহজেই জয় পেয়ে যায় খুলনার দলটি। ২১ বল খেলে ৪৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন আফিফ। ম্যাচ শেষে এই ব্যাটারের দুর্দান্ত ইনিংসের প্রশংসা করেছেন তার দক্ষিণ আফ্রিকান সতীর্থ ওয়েন পারনেল।


আফিফের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'ব্রিলিয়ান্ট ইনিংস। আমার চোখে বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী ব্যাটার। অনেক তরুণ ব্যাটার। ফাস্ট বোলিং, স্পিন বোলিং সবই খেলতে পারে। মাঠের চারপাশ দিয়ে খেলে। অনেক স্মার্ট ছেলে। তাকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তাকে ভালো করার ঐ আত্মবিশ্বাসটা দিতে হবে এবং সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সে আজ যেসব শট খেলতে চেয়েছে সবই কাজে লেগেছে। খুব ভালো লাগছে।'


এখনও পর্যন্ত বিপিএলে ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ২৭.৫ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২০ রান। ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসটির আগে এবারের বিপিএলে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৩৭ রানের। ঢাকার বিপক্ষেই প্রথম দেখায় এই অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আফিফের স্ট্রোকে মুগ্ধ হয়েছেন পার্নেলও।


আফিফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ৫ বছর আগে। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে তেমন ধারাবাহিকটা দেখাতে পারেননি তিনি। এই বিষয়েও কথা বলেছেন পারনেল, ‘ ২০১৮ সালে যখন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলতে আসি, তখনই তাকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হয়েছে। সে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে। উত্থান-পতন থাকবেই, খুব স্বাভাবিক। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ও তার নিজের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। তবে এজন্য সমর্থন প্রয়োজন। সমর্থন পেলে আত্মবিশ্বাস পাবে এবং আরও ধারাবাহিক হতে পারবে।’


পার্নেল নিজেও এই ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছেন। ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনিই। এরপর বাকি কাজটা করেছেন আরেক পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তরুণ এই পেসার ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। উইকেট প্রত্যাশামাফিক না হলেও বোলাররা লাইন লেন্থ মেনে যেভাবে বোলিং করেছে তার প্রশংসা করেছেন তিনি।


পার্নেল বলেন, 'ফ্রেশ উইকেট, একটু ঘাস ছিল। আশা করছিলাম একটু মুভমেন্ট করবে। শুরুতে যেমন করেছে পরে আবার এতটা ছিল না। পেস বোলারদের ঠিক জায়গায় বল করতে হতো, আমরা সেটা করতে পেরেছি। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত প্রতিপক্ষের ৩-৪ উইকেট পড়ে গেলে তাদের জন্য ম্যাচে ফেরা কঠিন। ১৩০ রানের নিচে আটকে দেওয়া মানে তো সহজেই তাড়া করার যোগ্য।'