১৭ বছরের জন্য রিজওয়ানকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি

ক্রিকেট দুনিয়া February 15, 2024 17,825
১৭ বছরের জন্য রিজওয়ানকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি

টি-টেন লিগে দুর্নীতির চেষ্টা করে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। একই ঘটনায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদকে ১৭ বছর ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।


যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্লাব ক্রিকেটার রিজওয়ান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। এর ১৪ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল রিজওয়ানকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব দেননি এই ক্রিকেটার। ফলে যেসব অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল, সেগুলো তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।


আইসিসির নৈতিকতাবিষয়ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বারবার এবং বড় আকারে দুর্নীতি করার চেষ্টার কারণে রিজওয়ান জাভেদকে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তিনি অনুতাপ বা আমাদের খেলা রক্ষায় যে নিয়ম আছে, সেগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখাননি।’


সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী পাঁচটি ধারা ভেঙেছেন রিজওয়ান। এ অপরাধে শাস্তি দিয়েছেন আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট কমিটির প্রধান মাইকেল যে বেলোফ। রিজওয়ানের এই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শুরু ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।


আইসিসির নৈতিকতাবিষয়ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বারবার এবং বড় আকারে দুর্নীতি করার চেষ্টার কারণে রিজওয়ান জাভেদকে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তিনি অনুতাপ বা আমাদের খেলা রক্ষায় যে নিয়ম আছে, সেগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখাননি।’


রিজওয়ান যেসব ধারা ভেঙেছেন :


২.১.১- ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে ম্যাচ বা ম্যাচের কোনো দিক গড়াপেটার উদ্যোগ বা আয়োজনের অংশ থাকা (তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে)।


২.১.৩- দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে অন্য এক খেলোয়াড়কে পারিতোষিক দেয়ার প্রস্তাব।


২.১.৪- ২.১ নম্বর ধারা ভাঙতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অংশগ্রহণকারীকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশনা, পটানো বা উৎসাহ দেয়া কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা করে দেয়া।


২.৪.৪- ধারার অধীনে দুর্নীতিমূলক আচরণ বলে বিবেচিত কোনো কাজে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিস্তারিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।


২.৪.৬- ন্যায্য কোনো কারণ ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তদন্ত চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা।


সূত্রঃ ইত্তেফাক অনলাইন