ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল তিন ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও খুব একটা নাম করতে পারেননি। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা বড় কোন তারকাও নন। বিপিএলে এবার খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে । বাংলাদেশি ক্রিকেটার ও সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আলোচনায় এই ইংলিশ তারকা । পরে অবশ্য তার হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঘটনার সূত্রপাত, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের অনুশীলন চলাকালীন সময়ে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইরের অংশে অনুশীলন করছিলো সিলেট ফ্রাঞ্চাইজির ক্রিকেটাররা। গণমাধ্যমকর্মীরাও তখন উপস্থিত সেখানে। ওই সময় এক গণমাধ্যমকর্মী সিলেটের ইংলিশ ক্রিকেটার সামিত প্যাটেলের বিশেষ সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সামিত প্যাটেল চকলেটের মত কিছু একটা চিবুচ্ছিলেন। সেই সাংবাদিক তখন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ওটা চকলেট কি না? জিজ্ঞাসা করার কারণও ছিল। প্রায় ৪০ বছর বয়সী সামিত প্যাটেলের স্থুল শরীর। একজন খেলোয়াড় চকলেট জাতীয় কিছু খেলে, তার এমনিতেই মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্নের জবাবে সামিত প্যাটেল তখন জানান, তিনি প্রোটিন বার চিবুচ্ছেন। আপাতত ঘটনা তখন আর এগোয়নি। ওই সাংবাদিকও সাক্ষাৎকার শেষ করে চলে আসেন।
আধাঘণ্টা পর সামিত প্যাটেলের কোনো কারণে চিন্তা হলো, প্রোটিন বারের কথা বলার কারণে হয়তো তিনি কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন। তার বলা কথাটা আবার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক রেকর্ডও করে রেখেছিলেন।
সামিত প্যাটেল খুঁজে-টুজে সেই সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে খুব বাজে আচরণ করেন এবং তার সামনেই সাক্ষাৎকারের রেকর্ড ডিলিট করতে বাধ্য করেন। এ সময় ওই ইংলিশ ক্রিকেটার বাংলাদেশি মিডিয়া নিয়ে গালাগালি করতে শুরু করেন। আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বলেন, ‘ফা... বাংলাদেশি মিডিয়া, আই অ্যাম নট বাংলাদেশি ক্রিকেটার, আই অ্যাম ফা... বাংলাদেশি জার্নালিস্টস।’
সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। সিলেট স্ট্রাইকার্সের মিডিয়া এবং কমার্শিয়াল ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন খানকে ডেকে প্রতিবাদ জানান। মিনহাজ এ নিয়ে সামিত প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন। জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেন এমন আচরণ করেছেন? যদিও তাৎক্ষণিক সামিত প্যাটেল ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে ‘স্যরি’ বলেন।
ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও সিলেটের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল সাংবাদিকদের কাছে আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবস্থা নেয়ার। জানা গেছে, সামিতের নানা কাণ্ডে এমনিতেই বিরক্ত সিলেট ম্যানেজমেন্ট।