দেখতে দেখতে ২৩তম দিন পার হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের । ইতোমধ্যে ৪৬টি ম্যাচের মধ্যে ২৮টি শেষ হয়েছে। ঢাকার পর সিলেট ঘুরে বিপিএল আবার ফিরে আসে ঢাকায়। রাজধানীতে দ্বিতীয় পর্ব শেষে এবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিপিএল। টানা আট ম্যাচে হারের রেকর্ড গড়ে সবার আগে আসর থেকে ছিটকে গেছে তারুণ্য নির্ভর দল দুর্দান্ত ঢাকা।
টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৯টি করে ম্যাচ খেলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি করে ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। এছাড়া ৭টি করে ম্যাচ খেলেছে খুলনা টাইগার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ৭ ম্যাচ থেকে ৫ জয় ও ২ হারে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। এছাড়া তৃতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তারা ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ হারে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। আর ৮ ম্যাচ থেকে ৪ হার ও সমান জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে বন্দর নগরীর দল ফরচুন বরিশাল।
সিলেট পর্ব শুরুর আগে টেবিলের শীর্ষে থাকা খুলনা টাইগার্স রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তারা ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ হারে পেয়েছে ৮ পয়েন্ট। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে গতবারের রানার্সআপ সিলেট স্টাইকার্স। তারা ৯ ম্যাচে ৩ জয় ও ৬ হারে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। আর টেবিলের তলানিতে রয়েছে তারুণ্যে গড়া দল দুর্দান্ত ঢাকা। তারা ৯ ম্যাচে ১ জয় ও ৮ হারে পেয়েছে ২ পয়েন্ট।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে চট্টগ্রাম পর্ব। তার আগে দেখে নেয়া যাক ব্যাট ও বল হাতে কারা রয়েছেন শীর্ষ ৫ এ।
ঢাকার ২য় পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক-
১. নাঈম শেখ (ঢাকা) - ২৬৬ রান
২. বাবার আজম (রংপুর) - ২৫১ রান
৩. তাওহিদ হৃদয় (কুমিল্লা) - ২৫০ রান
৪. মুশফিকুর রহিম (বরিশাল) - ২৩৮ রান
৫. এনামুল হক বিজয় (খুলনা) - ২২৮ রান
৬. সৌম্য সরকার (বরিশাল) - ২০৩ রান
ঢাকার ২য় পর্ব শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার-
১. শরিফুল ইসলাম (ঢাকা) - ১৭ উইকেট
২. শেখ মেহেদী হাসান (রংপুর) - ১২ উইকেট
৩. সাকিব আল হাসান (রংপুর) - ১১ উইকেট
৪. তানভির ইসলাম (কুমিল্লা) - ১১ উইকেট
৫. বিলাল খান (চট্টগ্রাম)- ১০ উইকেট
6. আর নাগারাভা (সিলেট) - ১০ উইকেট
ঢাকার ২য় পর্ব শেষে সেরা বোলিং ফিগার-
১. আমের জামাল (কুমিল্লা) - ২৩/৫ (৪ ওভার) বনাম খুলনা
২. নাহিদুল ইসলাম (খুলনা) - ১২/৪ (৪ ওভার) বনাম চট্টগ্রাম
৩. তানভির ইসলাম (কুমিল্লা) - ১৩/৪ (৪ ওভার) বনাম চট্টগ্রাম
৪. সানাকা (খুলনা) - 16/৪ (৩ ওভার) বনাম রংপুর
৫. এলিস আল ইসলাম (কুমিল্লা) - ১৭/৪ (৪ ওভার) বনাম সিলেট
৬. কার্টিস ক্যাম্ফার (চট্টগ্রাম) - ২০/৪ (৩ ওভার) বনাম বরিশাল