আইপিএল ও বিপিএলের অনেক পরে শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। পাকিস্তানে লম্বা সময়ের জন্য নির্বাসিত ছিল ক্রিকেট আয়োজনে। এমন এক দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কতখানি সফলতা আসবে সেই প্রশ্নও উঠেছিল বারবার। তবে পিএসএল দিনে দিনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে মান এবং আয়োজনের দিক থেকে আইপিএলের পরই পিএসএলের অবস্থান।
এরই মধ্যে ছয় দলের এই টুর্নামেন্ট বাণিজ্যিক সফলতা পাচ্ছে। সাড়াও পড়েছে ব্যাপক আকারে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তুলনায় অনেকই পিএসএলকে এগিয়ে রাখছেন। বিদেশি অনেক ক্রিকেটারই বিপিএল ছেড়ে পিএসএলে খেলতে আগ্রহী। পিএসএলের এমন বড় মাপের সাফল্যের প্রভাব পড়েছে তাদের বৈশ্বিক মিডিয়া স্বত্বের ওপরেও।
২০২৪ সালের এইচবিসি পিএসএলের বৈশ্বিক মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১২৬ কোটি রুপিতে। যা আগের আসরের মিডিয়া স্বত্বের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি। ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিলাম শেষে পিএসএলের মিডিয়াস্বত্ব কিনে নেয় ট্রান্সগ্রুপ এফজেডই।
নিলামে এআরওয়াই কমিউনিকেশন্স, জিও, সুপার স্পোর্ট, উইলো টিভি এবং স্লো স্পোর্টসকে সরিয়ে সর্বোচ্চ বিডিং এর মাধ্যমে স্বত্ত্ব ক্রয় করেছে ট্রান্সগ্রুপ। তাদের মাধ্যমেই সারা বিশ্বে টিভি সম্প্রচার এবং অনলাইন স্ট্রিমিং হবে। তবে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সম্প্রচার স্বত্ত্ব থাকছে না তাদের হাতে।
একইসঙ্গে দুই বছরের জন্য বিক্রি করা হয়েছে পিএসএলের টিভিস্বত্ব। ১২৬ কোটি রূপির মাঝে ৬৩ কোটি রুপি পিএসএলের নবম আসরের জন্য। বাকি অংশ দেয়া হয়েছে দশম আসরের স্বত্ব হিসেবে। এর আগে পাকিস্তান জাতীয় দলের ফিউচার ট্যুর প্ল্যান এবং পিএসএলের জন্য একইসঙ্গে মিডিয়াস্বত্ব বিক্রি করা হলেও এবার পিএসএলের জন্য আলাদা করেই স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে।