সিলেটের টানা পঞ্চম হারের দিনে বিশাল ব্যবধানে জিতল বরিশাল

ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্স মুখোমুখি হওয়ার আগে টানা ম্যাচ হেরেছে দুই দলই । এবারের আসরে কোন ম্যাচ না জেতা মাশরাফি বাহিনী প্রথম ম্যাচ জেতার জন্য ছিল খুবই মরিয়া । কিন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আহম্মেদ শেহজাদের দুর্দান্ত ব্যাটিং এর পর ইমরান -মিরাজের ম্যাজিকে বরিশালের কাছে বিশাল ব্যবধানে হারলো সিলেট । এ নিয়ে টানা পঞ্চম হার সিলেটের, তিন ম্যাচ হারার পর জয়ে ফিরলো বরিশাল ।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটকে ১৮৭ রানের লক্ষ্য দেয় তামিম-রিয়াদরা। জবাব দিতে নেমে ১৫ বলে হাতে থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এতে ৪৯ রানের বড় জয় পায় বরিশাল।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে তামিম ইকবালকে হারায় ফরচুন বরিশাল। ৮ বলে ২ রান করে নাইম হাসানের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন এই টাইগার ওপেনার। ৫ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন প্রীতম কুমারও।

চতুর্থ উইকেটে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন পাকিস্তানি তরকা ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। ১৭ বলে ২০ রান করে সৌম্য আউট হলেও ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন শেহজাদ। ৪১ বলে ৬৬ রান করে বেনি হাওয়েলের বলে ক্যাচ আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। ১৯ বলে ২২ রান করেন মুশফিক। বেনি হাওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গেলে বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন নাইম।

শেষ দিকে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মাহমুদুল্লাহ। ২৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন দেশ সেরা এই ফিনিশার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মিরাজের ৬ বলে ১৫ রান এবং মাহমুদুল্লাহর ২৪ বলের অপরাজিত ৫১ রানের ভর করে ১৮৬ রানের বড় পুঁজি পায় ফরচুন বরিশাল।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন বেনি হাওয়েল। এ ছাড়াও রিচার্ড এনগারাভা, নাইম হাসান ও সামিত প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেনি সিলেটের ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। ৭ বলে ৯ রান করে মিরাজে বলে কট আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসেও সুবিধা করতে পারেননি মাশরাফী। ৩ বলে ২ রান করে আউট হন এই টাইগার পেসার।

২৩ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার শামসুর রহমান শুভ। তবে বেনি হাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জাকির হাসান। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সিলেট। কিন্তু ফিফটি পূরণের জন্য চার রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির। ৩৪ বলে ৪৬ রান করে ইমারনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি।

পরের ওভারে মিরাজকে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন বেনি হাওয়েল। ১৯ বলে ২৪ রান করে এই ডান হাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট। ৪ বলে ২ রান করে আউট হন আরিফুল হকও।

আকিভ জাভেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৪ বলে ১ রান করে আউট হন রাইয়ান বার্ল। ২ বলে ১ রান করে রান আউট হন নাইম হাসান। শেষ দিকে ৪ বলে ১২ রা করে রেজাউর রহমান রাজা এবং রিচার্ড এনগারাভা শূন্য রানের আউট হলে ১৫ বলে হাতে থাকতেই ১৩৭ রানের অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ইমরান। মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও আকিভ জাভেদ নেন এক উইকেট।