এবারের বিপিএলে এই ম্যাচ পর্যন্ত কোন দলই প্রথমে ব্যাট করে জিততে পারেনি । এই প্রথম আগে ব্যাট করে ম্যাচ জিতে অসাধ্য সাধন করলো খুলনা টাইগার্স । সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল ।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা টাইগার্স । দলীয় ২ রানের মাথায় শেখ মেহেদির বলে ০ রানেই সাজঘরে ফিরেন বিজয় । বিজয়ের বিদায়ের পর এক পাশ আগলে রেখে টি-২০ মেজাজেই ব্যাট করতে থাকেন এভিন লুইস । মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন দ্রুতই ফিরে গেলে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেনি এভিন লুইসও । ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৭ রান করে ফিরেন লুইস । ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারালে চাপে পরে যায় খুলনা টাইগার্স ।
চতুর্থ উইকেট পতনের পর খুলনা টাইগার্সের হাল ধরেন বিদেশি দুই ব্যাটার শানাকা ও নাওয়াজ । দারুন দক্ষতার সাথে রংপুরের বোলারদের সামাল দিয়ে ৫৩ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা । হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪০ রান করেন শানাকা । তার ইনিংসে ৫ টি চার ও ১ টি ছক্কা ছিল । অন্যদিকে ৫ টি চার ও ৩ টি চারে ৩৪ বলে ৫৫ রান করে ফেরার আগে খুলনাকে লড়াই করার পুজি এনে দিয়ে যান মোহাম্মাদ নাওয়াজ ।
শেষ পর্যন্ত ওয়াসিম জুনিয়র ছোট ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের লড়াই করার পুজি পায় খুলনা টাইগার্স ।
৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেনে শেখ মেহেদি । সাকিব কোন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়েছেন তিনি । অন্যদিকে হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ টি গুরুত্বপূর্ন উইকেট ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। দলীয় ১১ রানের দুই বিদেশি ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর। ৮ বলে দুই রান করে স্বদেশি ওয়াসিম জুনিয়রের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন বাবর আজম। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও রান তুলতে পারেননি ব্যান্ডন কিং। ১ রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে বোল্ড আউট হন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার।
তবে শামীম পাটোয়ারীকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার রনি তালুকদার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ব্যাটারও। ২৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ২২ বলে ৩০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন শামীম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নবি।
শামীমের আউটের পর মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফগান তারকা আজমতুল্লাহ ওমারজাই। শেষ দিকে ব্যাটে এসে দলকে রক্ষা করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। ৪ বলে মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন তিনি।
শেষ দিকে মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। ২৪ বলে রংপুরে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬২ রান। ৮ বলে ১২ রান করে মাহেদী আউট হলে পর পর দুই বাউন্ডারি মেরে ক্যাচ আউট হন রিপন মন্ডল।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। এতে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই আফগান অলরাউন্ডার। পরের বলে নবি ক্যাচ আউট হলে ১৩২ রানের অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। এতে ২৮ রানের জয় পায় খুলনা।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন দাসুন শানাকা। এ ছাড়াও মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ দুটি করে উইকেট নেন। এক উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ।