সদ্য সমাপ্ত হওয়া ভারত বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত অর্জনে উজ্জ্বল ছিলেন মোহাম্মদ শামি। ভারতীয় এই পেসার টুর্নামেন্টের শুরুতে একাদশে জায়গাই পাননি। তবুও দমে না গিয়ে থেকেছেন সুযোগের অপেক্ষায়। আর যখন তা পেয়েছেন জ্বলে ওঠেছেন স্বমহিমায়। তাইতো, আসর শেষে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম চার ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি শামির। তবে তার কপাল খুলে হার্দিক পান্ডিয়া চোটে পড়লে। এরপর দলে ঢুকে নিজের প্রতিভায় মুগ্ধ করেছেন বিশ্বকে। দেশের হয়ে আসরে ৭ ম্যাচ খেলেই তিনি নিয়েছেন ২৪ উইকেট। তবে বল হাতে এমন দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করেও সমালোচনার শিকার হয়েছেন শামি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়ার পর হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছিলেন শামি। এ সময় তার দুই হাতও ছিল মাটিতে। সে সময় তাকে দেখে অনেকেই ভেবেছেন, হয়তো সেজদা দিতে উদ্যত হয়েছেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত তা করতে দেখা যায়নি তাকে। এদিকে এমন ঘটনার পর অনেকেই বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে মুড়তে চেয়েছিলেন। অনেকেই দাবী করেছিলেন যে ভয় পেয়েই হয়তো সেজদা দিতে গিয়েও সরে এসেছেন তিনি।
অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় এই তারকা পেসার। দেশটির গণমাধ্যম আজ তাকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, ‘যদি সেজদা দিতে চাই, কে আটকাবে আমাকে? আমার যদি ইচ্ছা হয়, আমি সেজদা দেব। এতে কী সমস্যা? আমি একজন মুসলমান। আমি গর্বের সঙ্গে বলি আমি একজন মুসলমান এবং একজন ভারতীয়। এতে কী সমস্যা?’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমার ইবাদত করতেও অনুমতি নেয়া লাগতো তাহলে আমি এই দেশে থাকতাম? সেজদা দিতে যদি কারও অনুমতি নেওয়া লাগে তাহলে কেন আমি এখানে থাকব?’
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ওমন উদযাপনের কারণ ক্লান্তি বলেই জানিয়েছেন শামি। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে দেখেছি যে তারা দাবি করছে আমি সেজদা দিতে চেয়েও দেইনি। আমি কি কখনো এর আগে করেছি? আমি জীবনে অনেকবার পাঁচ উইকেট পেয়েছি। আপনি যদি চান আমি এটা করি, তবে বলুন কোথায় করতে হবে, আমি ভারতের সব প্ল্যাটফর্মে করব।’
সূত্রঃ ঢাকা মেইল