অফফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও ছিলেন না। অনেকেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ারের শেষ তখন দেখে ফেলেছিলেন। এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর নানা আলোচনা-সমালোচনার শেষে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফের ডাক পান। এরপর থেকেই ছন্দে ফিরে তার ব্যাটে আসছে রান।
বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন অভিজ্ঞতার কারণেই মাহমুদউল্লাহ বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমনটাই বলেন।
‘মাহমুদউল্লাহ অনেক ভাগ্যবান যে বড় বিরতির পর সে এখানে এসে পারফর্ম করেছে। একটা বড় ব্যাপার হল মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতাটা ছিল। তাই সে উতরে গেছে। হয়তো বা অনেকে এমনটা করতে পারবে না।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয়ে নেমে ১১১ বলে ১১১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৮১ রানে ৬ ব্যাটারকে হারানোর পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে টাইগারদের হাল ধরেন অভিজ্ঞ তারকা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও টপঅর্ডারের ব্যর্থতার পর দলের হাল ধরে ফিফটির দেখা পান সাইলেন্ট কিলার খ্যাত এ ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডের সবাই এক সঙ্গে অফফর্মে যাওয়ায় বিশ্বকাপে এবার দলটির হয়েছে ভরাডুবি। কোনো ম্যাচেই লড়াই করার মানসিকতাই দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম শুধু ৩৭ বর্ষী মাহমুদউল্লাহ। ছয় ম্যাচে ৬৮.৫০ গড়ে ৮৯.২৫ স্ট্রাইক রেটে এক ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিসহ করেছেন ২৭৪ রান। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে চলতি আসরে তিনিই সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। যদিও তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দলের কাজে আসেনি বলেই হতাশা প্রকাশ করলেন সুজন।
‘মাহমুদউল্লাহ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ভালো একটা হান্ড্রেড করেছে। এটা আমাদের কোনো কাজে আসেনি। ব্যক্তিগত মাইলফলক হিসেবে রিয়াদের পারফরম্যান্স দারুণ ছিল।’