গত মৌসুমে পয়েন্ট তালিকায় নয় নম্বরে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার তারা ফাইনালে।
এক-দুবার নয়, এ নিয়ে দশমবার তারা নামবে শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে।
অনেককিছু বদলে গেলেও এতদিনে একটা ব্যাপার আছে একই- মাহেন্দ্র সিং ধোনি।
মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাটকে ১৫ রানে হারিয়েছে চেন্নাই।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের সংগ্রহ পায় ধোনির দল।
জবাব দিতে নেমে সব ওভার খেললেও ১৫৭ রানে অলআউট হয় গুজরাট।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাট টাইটান্স।
কনওয়ে এবং ঋতুরাজ মিলে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমান করেন ।
ঋতুরাজ ৪৪ বলে ৬৪ রান করে ফিরে গেলে ।
তিন নম্বরে নেমে ফ্লপ শিবম দুবে।
দলীয় ৯০ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও অজিঙ্কা রাহানে।
১২১ রানের মাথায় ১০ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন অজিঙ্কা।
স্কোরবোর্ডে ৪ রান যুক্ত হতেই ব্যক্তিগত ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে।
দুই নির্ভরশীল ব্যাটারকে হারিয়ে ডেথ ওভারে নিজেদের খুঁজে পায়নি চেন্নাই।
১৮ তম ওভারে আম্বাতি রাইডু ফিরেন ৯ বলে ১৭ রান করে ।
এরপর ১৯ তম ওভারে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ২ বলে ১ রান করে ফিরলে ।
শেষের দিক রবীন্দ্র জাদেজার ১৬ বলে ২২ রান এবং মঈন আলীর ৪ বলে ৯ রানের
ছোট ক্যামিওতে শক্ত পুজি পায় চেন্নাই।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের।
১১ বলে ১২ রান করা ঋদ্ধিমান সাহা আউট হন দীপক চাহারের বলে।
টানা দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শুভমন গিলও ইনিংস টানতে পারেননি।
৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ বলে ৪২ রান করা গিলকে ফেরান দীপক চাহার।
গুজরাটের মিডল অর্ডার এদিন ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ।
তিন থেকে সাত নম্বর ব্যাটারের কেউ বিশ রানও করতে পারেননি।
বিপদে পড়া দলকে খেলায় ফেরাতে সপ্তম উইকেটে জুটি বাধেন
বিজয় শঙ্কার আর রশিদ খান।
মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় মাত্র ১৮ বলে ৩৮ নিয়ে আসেন তারা।
কিন্তু ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ৩০ রান করা রশিদ খান
তুষার দেশপাণ্ডের বলে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিলে গুজরাটের আশাও শেষ হয়।
তবে এখনও গুজরাটের শিরোপা ধরে রাখার আশা বেঁচে আছে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা লড়বে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার এলিমিনেটরে জিতে যাওয়া দলের বিপক্ষে।