দিন কয়েক আগেও জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য ভাবা হত তাকে। অথচ এখন যেন দলের বোঝা। আর তাইতো আয়ারল্যান্ড সিরিজের মাঝপথেই তাকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলতে ঢাকায় পাঠানো হল।
ইংল্যান্ড সিরিজে নিজের ছন্দে ছিলেন না আফিফ। এই বাঁহাতি তিন ওয়ানডেতে রান করেছেন যথাক্রমে ৯, ২৩ ও ১৫। এরপর টি-টোয়েন্টিতে দুই ম্যাচ সুযগ পেয়ে করেছেন অপরাজিত ১৫ ও ২ রান।
এমন মলিন পারফরম্যান্সে রেকর্ড সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাদ পড়েছেন তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। মূলত কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নয় বলেই বাদ পড়া।
এরপর আয়ারল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে ডিপিএলে আবাহনীর জার্সিতে একটি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ব্যাট হাতে ৪৭ বলে ৬৫ রানের সাথে বল হাতে ২ ওভারে ১১ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।
এমন পারফরম্যান্সেও অবশ্য লাভ হয়নি। আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকলেও জায়গা হয়নি প্রথম দুই ওয়ানডের একাদশে। আগামী ২৩ মার্চ মাঠে গড়াতে যাওয়া শেষ ওয়ানডেতেও তার জায়গা হচ্ছে না নিশ্চিতই।
আর তাইতো সিলেটে বসিয়ে না রেখে তাকে ডিপিএল খেলতে ঢাকা পাঠানো হয়েছে আজ। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
এরপর আজ দুপুরে ঘোষিত তৃতীয় ওয়ানডের স্কোয়াডেও রাখা হয়নি তাকে। তার মতো একই পরিণতি শরিফুল ইসলামের। প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পাওয়া এই বাঁহাতি পেসারকেও ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে, নেই তৃতীয় ওয়ানডের স্কোয়াডে।
সূত্রঃ ডেইলি ক্রিকেট