গত টি২০ বিশ্বকাপে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া প্রায় সব দলই জয়ী হয়েছে। তিন দিন আগে শুরু হওয়া এশিয়া কাপেও এ রীতিই চলছিল। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাঁটলেন উল্টো পথে।
ফলাফলটা নিশ্চয়ই সবার জানা হয়ে গেছে। ৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। সাকিবের এই সিদ্ধান্তে কিন্তু ব্যাটারদের ভুলটা আড়াল হবে না। জঘন্য ব্যাটিং করেছেন তাঁরা। টস জেতার পর ব্যাটিং নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাকিব বলেন,
“উইকেটটা খুব ভালো মনে হচ্ছে। স্কোরবোর্ডে ভালো রান তুলতে পারলে সেটি তাড়া করতে আফগানিস্তানের জন্য কঠিন হবে। আমাদের তিনজন পেসার ও দুই স্পিনার―আশা করি বোলিংটা ভারসাম্যপূর্ণই। তারা (আফগানিস্তান) খুবই ভালো দল। তাদের বোলিং আক্রমণ অনুযায়ীই আমরা প্রস্তুত হয়েছি। আশা করি, আমরা দেখাতে পারব যে আমরা কী করতে পারি।”
সাকিবের কথায় স্পষ্ট, উইকেটের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেননি তিনি, চাপ থেকে বাঁচতে আগে ব্যাটিং সেরে ফেলতে চেয়েছেন তিনি। তাই তো টস হেরেও বোলিং পেয়ে খুশি হন আফগান দলপতি মোহাম্মদ নবী, ‘পিচকে তরতাজা মনে হচ্ছে। মাটিও একেবারে তরতাজা। মনে হচ্ছে উইকেটে বল একটু নিচু হতে পারে। আশা করছি তাদের অল্পতেই আটকে দিতে পারব।’
নবীর প্রত্যাশামতোই যেন সব হয়েছে। সাকিবের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তবে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত জানিয়েছে রাশিদ খানের জন্যই টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, “আমার কাছে যে জিনিসটা মনে হইছে, সেম আমিও যদি আপনাদেরকে এ জিনিসটা বলি যে আপনি যদি রশিদ খানের বিপক্ষে ব্যাটিং করেন”।
“আপনি অবশ্যই চাইবেন না চেজিং করার সময় ৭-৮ করে রশিদ খানের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে। আমরা যখন শুরুতে ব্যাটিং করছি, আমরা চাইছি যতটুক সম্ভব রানটা আগাই রাখতে। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। কিন্তু আমি মনে করি যে আমরা পুরোপুরি প্লানের মধ্যে ছিলাম”।
সূত্রঃ বাংলাওয়াশ ক্রিকেট