তিন-চার ঘণ্টা ধরে মদ পান করানোর চেষ্টা করা হয় হাশিম আমলাকে!

ক্রিকেট দুনিয়া November 20, 2021 3,392
তিন-চার ঘণ্টা ধরে মদ পান করানোর চেষ্টা করা হয় হাশিম আমলাকে!

বর্ণবিদ্বেষের উত্তাপে এবার ঘি ঢাললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার টিনো বেস্ট। কাউন্টিতে মদপানের রীতির কারণে অনেক এশীয় ক্রিকেটার এ পরিবেশে অভ্যস্ত হতে পারে না বলে মন্তব্য করে ২০১০ সালে ইয়র্কশায়ারে আজিম রফিকের সঙ্গে খেলা বেস্ট বলেন, মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাকে জোর করে মদপানের বহু চেষ্টা করা হয়েছিল।


স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে টিনো বেস্ট বলেন, আমলাকে একবার এক ব্যক্তি টানা তিন-চার ঘণ্টা ধরে জোরাজোরি করছিল। তিনি অনেকক্ষণ ধরে তাকে মদপান করানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিল।


আর হাশিম বরাবরের মতো বিনয়ী হয়ে বলছিল, স্যার আমি পান করি না। তা সত্ত্বেও সেই ব্যক্তির থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না। পরে আমি বলতে বাধ্য হই- হাশিম একজন মুসলিম। ও পান করে না। প্লিজ তুমি এই জোরাজোরি বন্ধ করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।


বিবিসি স্পোর্টসকে ক্যারিবিয় পেসার জানান, মদপানকে কেন্দ্র করেই ইংলিশদের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। দলের অংশ হওয়ার জন্য কাউকে ক্লাব হাউজে গিয়ে ৮-৯ পেগ মদপান করতে বাধ্য করা উচিত নয়। যদি কেউ এই পানীয় সংস্কৃতিতে স্বাচ্ছন্দবোধ না করে তাহলে সে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যা বর্ণবিদ্বেষের ঘটনাকে আরও প্রভাবিত করছে।


টিনো আরও বলেন, আমি কৃষ্ণাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও দলের অংশ হতে চাইতাম। তারা বাকিদের সম্পর্কে যা বলত, তা এখনো শুনলে অবাক হতে হয়।


উল্লেখ্য, হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় জার্সিতে মদপানের এন্ডোর্সমেন্টেও রাজি হননি। বেস্ট ওই ঘটনা প্রকাশ করে জানালেন, কীভাবে এশীয় এবং এশীয় বংশোদ্ভূতরা ইংলিশ ক্রিকেট সংস্কৃতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না।


সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস/ চ্যানেল২৪