শারজায় গ্রুপ ওয়ান এর খেলায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই কুশল পেরেরাকে হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন পাথুম নিসাঙ্কা।
চারিথ আসালাঙ্কা ১৪ বলে ২১ রান করে বিদায় নিলে অপর প্রান্তে আবারও উইকেটের পতন ঘটতে থাকে। তবে নিসাঙ্কা এক প্রান্ত আগলে ছিলেন দৃঢ়ভাবে। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে তার ৭২ রানের ইনিংস দলকে এনে দেয় লড়াকু পুঁজি।
৫৮ বলের মোকাবেলায় নিসাঙ্কা হাঁকান ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪২ রান। প্রোটিয়াদের পক্ষে তাবরাইজ শামসি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস তিনটি করে এবং অ্যানরিখ নরকিয়া দুটি উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তবে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা সাবধানী ব্যাটিংয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপে বড় আঘাত হানেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
১৫তম ওভারের শেষ বলে অ্যাইডেন মারক্রামকে সাজঘরে ফেরান হাসারাঙ্গা। ১৮তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে সাজঘরে ফেরান বাভুমা (৪৬ বলে ৪৬ রান) ও প্রিটোরিয়াসকে, গড়েন হ্যাটট্রিকের কীর্তি। এতে ম্যাচ হেলে পড়ে লঙ্কানদের দিকে।
তবে সব হিসেবনিকেশ ওলটপালট করে দেন ডেভিড মিলার। ছয় নম্বরে নেমে ১৩ বলে ২৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়। স্ট্রাইক রোটেটিংয়ে মুন্সিয়ানা দেখানোর পাশাপাশি প্রবল চাপের মুখে মিলার হাঁকিয়েছেন দুটি ছক্কাও।
বড় অবদান রেখেছেন কাগিসো রাবাদাও। মিলারের মত অপরাজিত থাকেন তিনিও, ৭ বলে ১৩ রান করে। ১১২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা জয় পায় ৪ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখে।
• সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : দক্ষিণ আফ্রিকা
শ্রীলঙ্কা : ১৪২/১০ (২০ ওভার)
নিসাঙ্কা ৭২, আসালাঙ্কা ২১
শামসি ১৭/৩, প্রিটোরিয়াস ১৭/৩, নরকিয়া ২৭/২
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৪৬/৬ (১৯.৫ ওভার)
বাভুমা ৪৬, মিলার ২৩*
হাসারাঙ্গা ২০/৩, চামিরা ২৭/২
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী।
সূত্রঃ বিডিক্রিকটাইম