সুপার টুয়েলভ নিশ্চিতের পর সংবাদ সম্মেলনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মাহমুদউল্লাহ। পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হওয়ার পর টাইগার কাপ্তান বলেন, 'আমরাও মানুষ, আমাদের অনুভূতি কাজ করে। আমাদের পরিবার আছে।
বাবা-মায়েরা টিভির সামনে বসে থাকে খেলা দেখার জন্য, সন্তানরা বসে থাকে। আমরা খারাপ খেললে তারা মন খারাপ করে। ফেসবুক এখন হাতের কাছে, সবারই মোবাইল আছে। সমালোচনা তো হবেই। কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে যখন কেউ কাউকে ছোট করে ফেলে তখন এগুলো খুব খারাপ লাগে।'
সব খেলোয়াড়কে নিয়েই সমালোচনা হয়েছে। তবে সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ সবচেয়ে সিনিয়র বিধায় তাদেরই তীরের বাণে বিদ্ধ করা হয়েছে বেশি। এসবের জবাবে রিয়াদ বলেন, 'আমাদের তিনজন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে।
আমরা তো চেষ্টা করেছি, এমন না যে আমরা চেষ্টা করিনি। হয়তোবা রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আনতে পারেনি। সমালোচনা পাওয়া অবশ্যই আমাদের কাম্য, সমালোচনা হবেই। কিন্তু আরেকটু যদি স্বাস্থ্যকর হয়, আমার মনে হয় সবার জন্যই ভালো।'
এদিকে, দল নিয়ে যে সমালোচনা করেছেন বোর্ড প্রধান সে ব্যাপারে তিনি এখনো অনড়। শুক্রবার (২২) সময় নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘স্কটল্যান্ডের মতো আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। এমন খেলা অপ্রত্যাশিত। ম্যাচ হারের পর যা বলেছি, আমি ওই কথায় এখনো অনড় আছি।’
পাপন বলেন, সে (মাহমুদউল্লাহ) বলেছে যে, তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু কেউই এটা করেনি। আর আমি ছাড়া আর প্রশ্ন তুলবেই বা কে! এছাড়া বলা হয়েছে যে, তাদেরকে নাকি ছোট করে কথা বলা হয়েছে।।
আমার মনে হয় সে এটা আবেগী হয়ে বলছে। কারণ আমরা এর আগেও দেখেছি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালেই সে হুট করে অবসরের ঘোষণা দিল। যেটা কোনো পেশাদারিত্বের মধ্যে পড়ে না।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ওরা সিনিয়র খেলোয়াড়, অনেক দিন ধরে দলকে সার্ভিস দিচ্ছে। কিন্তু আমি আগেও যা বলেছি, এখনো বলছি। প্রথম ম্যাচে ওদের কোনো কিছুই আমার ভালো লাগেনি।
পাপন আরও বলেন, ও (মাহমুদউল্লাহ) বলেছে আমরাও তো মানুষ। কিন্তু এ দেশে যারা তাদের সমর্থক তারাও মানুষ। বিসিবিতেও মানুষ ছাড়া কেউ নেই। সুতরাং সবারই আবেগ আছে। কিন্তু একটা সহযোগী সদস্য দেশের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের পর সমালোচনা সহ্য করারও সামর্থ্য থাকা উচিত।
এদিন হুঙ্কারও ছুড়লেন পাপন। তিনি বলেন, অনেকেই অনেক রকম কথা বলছে, সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তবে এটা যদি মনে করে যে, কেউ কিছু বলবে না। তবে ভুল ভাববে। যতবার তারা ভুল করবে, ততবারই এভাবে বলা হবে। এটা নিয়ে চুপ থাকার প্রশ্নই আসে না।
বিসিবি বস আরও যোগ করেন, খেলোয়াড়রা যখন ভালো খেলে তখন নিজে তাদেরকে ফোন দিয়ে কথা বলি। উৎসাহ দেই। কিন্তু সেসব তো আর তারা বলে না।
শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব ম্যাচসেরা হলেও আমার কাছে ভালো লেগেছে রিয়াদের ব্যাটিং। বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং এদিন সে করেছে। আমি তাকে এটা জানিয়েছিও। কিন্তু এটা তো সে বলল না একবারও।
সূত্রঃ সময় টিভি অনলাইন