হেডিংলে থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেও থামানো গেল না জার্ভোকে। ভারতের হয়ে ফের ম্যাচের মাঝে বিঘ্ন ঘটালেন ড্যানিয়েল জার্ভিস। ভারত-ইংল্যান্ড চলমান টেস্ট সিরিজে এটি তৃতীয় ঘটনা। এবার তিনি মাঠে আসেন বল হাতে। এর আগের দুবার এসেছিলেন উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে।
চলছিলো ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচের তৃতীয় দিনে ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পরেই পুরোদস্তুর একজন ব্যাটসম্যান সেজে মাঠে নেমে পড়েছিলেন একজন আগন্তুক। নাম তার জার্ভো। মানুষটা এক দৌঁড়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন পিচ পর্যন্ত।
তার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের হয়ে ব্যাটিং করা। এরপরে ইংলিশ নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে মাঠ থেকে বের করতে বেশ বেগ পান। একপ্রকার টানাহেঁচড়া করেই জার্ভোকে বের করতে হয় হেডিংলি থেকে। এই জার্ভো একজন ইউটিউবার। তিনি ফ্র্যাংক ভিডিও বানিয়ে এভাবে মানুষকে মজা দিয়ে থাকেন।
তবে ঘটনার সূত্রপাত কিন্তু তৃতীয় টেস্টে নয়, এর আগে লিডসেও ভারতের জার্সি পরে ফিল্ডিং করতে নেমেছিলেন জার্ভো। একই সিরিজে দ্বিতীয় বার এই কাজ করার পর ছাড় পাননি তিনি। ইয়র্কশায়ার নিশ্চিত করেছিলো, জার্ভোকে হেডিংলিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে আর কখনো হেডিংলিতে দেখা যাবে না এই কমেডিয়ানকে।
নিষিদ্ধের পাশাপাশি জরিমানাও গুণতে হচ্ছে প্রাঙ্ক স্টার জার্ভোকে। পিচ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার ওপরে। কিন্তু এতশতো বাঁধার পরে চতুর্থ টেস্টেও একই কাজ করলেন তিনি। ভারতের জার্সি গায়ে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন মাঠে। এক্ষেত্রে বোলারের ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। ইংল্যান্ড ইনিংসের ৩৪তম ওভারে উমেশ যাদব তৃতীয় বল করার আগেই দৌড়ে এসে বল ছুঁড়ে দেন জার্ভিস। তিনি ধাক্কাও দিয়ে বসেন জনি বেয়ারস্টোকে।
এতো নিষেধাজ্ঞা কিংবা জরিমানার পরেও কিভাবে বারবার একজন মানুষ ঢুকে পড়ছে মাঠের ভেতরে, তাও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে। এই ঘটনায় এবার আর চুপ থাকেননি কেউ-ই, চটেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। ইংল্যান্ডের মতো রক্ষণশীল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়েও জোরালো প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪