ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল আজ বিধ্বংসী বোলিং করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে জস বাটলারের সেঞ্চুরিতে ২২০ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান রয়েলস। জবাবে মুস্তাফিজুর রহমানের বিধ্বংসী বোলিং এ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে এই আসরে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন বাটলার। বাকি পঞ্চাশ করতে খেলেছেন আর মাত্র ১৭ বল। ৫৬ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে শতক হাঁকান তিনি।
এই আইপিএলে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন বাটলার। তার আগে ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দেবদূত পাডিক্কাল একশ করেন।
১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে বাটলার তিনটি ছয় ও একটি চারে তোলেন ২৪ রান। সন্দীপ শর্মা তাকে বোল্ড করেন ১২৪ রানে। ৬৪ বলের ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৮ ছয়। এই আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স করে মাঠ ছাড়েন বাটলার।
১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর স্যামসনের সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি গড়েন রাজস্থানের ইংলিশ ওপেনার। ৪৮ রান করে স্যামসন বিদায় নেওয়ার পর বাটলারের ব্যাটেই দুইশর ঘরে পৌঁছায় তারা। শেষ ওভারে রিয়ান পরাগ ও ডেভিড মিলার ১১ রান তোলেন।
২২১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান মনিশ পান্ডে এবং জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লেতে এই দুইজন যোগ করেন ৫৭ রান। ইনিংসের সপ্তম ওভারের নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। দলের বিপদের মুহূর্তে প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ওভারের প্রথম বলে বিধ্বংসী মনিশ পান্ডেকে ক্লিন বোল্ড আউট করেন মুস্তাফিজ। ২০ বলে ৩১ রান করে আউট হন মনিশ পান্ডে। এরপরে ছন্দ পতন হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। দলীয় ৭০ রানের মাথায় আরেক ওপেনার ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহুল তেওয়াতিয়া।
৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় বিজয় শঙ্করকে ৮ রানে আউট করে রাজস্থানকে তৃতীয় উইকেট এনে দেন ক্রিস মরিস। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় অধিনায়ক উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নেন তরুণ ফাস্ট বোলার কার্তিক ত্যাগী। ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উইলিয়ামসন।
তবে এর পরেই রাজস্থানের গলার কাঁটা হয়ে ওঠেন আফগানিস্তানের অল রাউন্ডার মহম্মদ নবী। তবে সেই সময়ে মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলেই নাবিকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ বলে দুটি ছক্কায় ১৭ রান করেন তিনি।
দলীয় ১৪২ রানের মাথায় জোড়া উইকেট তুলে নেন ক্রিস মরিস। আব্দুল সামাদ এবং কেদার যাদবের উইকেট তুলে নেন তিনি। এর পরের ওভারেই রশিদ খানকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুস্তাফিজুর রহমান।
চার ওভার বোলিং করে ২০ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। - বাংলাওয়াশ ক্রিকেট