'জন্টি রোডস' –এই নামটিই ক্রিকেট ইতিহাসে কিংবদন্তির আসন নিয়েছে। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের বাইরে ফিল্ডিং করেও যে ইতিহাসে ঠাঁই করে নেওয়া যায়, দলে সুযোগ করে নেওয়া যায় কিংবা কোটি কোটি ভক্ত জোগার করা যায়- তা জন্টি রোডসই প্রথম দেখিয়েছেন।
তার সময় থেকেই সেরা ফিল্ডার মানেই জন্টি রোডস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার এখনও ফুরিয়ে যাননি। যার প্রমাণ মিলল আজ রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে।
বাংলাদেশি লিজেন্ডসদের বিপক্ষে আজ সোমবার মাঠে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকান লিজেন্ডস। এই সিরিজে খেলছেন জন্টি। যার বয়স এখন ৫১ বছর ২৩১ দিন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুর কিছু পরেই দেখা গেল জন্টি রোডসের ফিল্ডিংয়ের ঝলক।
পুরো সিরিজে ভালো ব্যাটিং করা মেহরাব হোসেন অপির ভাগ্যটা আজ খারাপই ছিল। নাহলে নাজিমউদ্দিনের ব্যাটে লাগা বলটি কেন জন্টির কাছে চলে যাবে? আর কেনইবা রান-আউট হয়ে মাত্র ৯ রান করে ফিরতে হবে বাংলাদেশের একসময়ের তারকাকে?
মাখায়া এনটিনির করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলটি কোনোমতে ব্যাটে লাগিয়ে রানের জন্য দৌঁড় দেন নাজিমউদ্দিন। তিনি নন স্ট্রাইকে পৌঁছতে পারলেও মেহরাব হোসেন অপি এসে স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছতে পারেননি। নাহ, তিনি ঠিকই পৌঁছতে পেরেছিলেন; তবে তার আগে বাজপাখির মতো বল ছো মেরে তুলে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন জন্টি রোডস!
সবাই হতবাক হয়ে যান। থার্ড আম্পায়ার কল হলেও এই আউটের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগেনি। প্রায় ৫২ ছোঁয়া বয়সেও জন্টির এমন ফিল্ডিং দেখে নিশ্চয়ই চোখের আরাম পেয়েছেন দর্শকরা। দিনশেষে কথা একটাই 'ক্লাস ইজ পার্মান্যান্ট'।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ অনলাইন