কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া কেএমইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ নিরবাচন চলছিলো। বেলা ১২টায় মির্জাপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া ১ ছাত্রীর বাবা ভোট দিতে বিদ্যালয়ে যান।
ছাত্রীর মা তার ভাইয়ের বউ এর প্রসবজনিত কারণে কিশোরগঞ্জে অবস্থান করছেন। এ সুযোগে ওই ছাত্রীর পিতার কথিত বন্ধু গ্রামের প্রভাবশালী মহিউদ্দিন (৪৫) ছাত্রীর বসতবাড়ির গরুশূণ্য গোয়াল ঘর দেখতে যায়।
এ সময় ছাত্রীটিকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মহিউদ্দিন। ছাত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে এলে ধর্ষক মহিউদ্দিন পালিয়ে যায়। এর পর স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ধর্ষক মহিউদ্দিন প্রভাবশালী হওয়ায় একটি চক্র ছাত্রীটিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, মহিউদ্দিন ও তার ভাইয়েরা এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় বরাবরই তারা ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আসছে।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, আমাদের মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে মহিউদ্দিন। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলা কেন করা হয়নি জানতে চাইলে তারা জানান, একটি মহল বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮) দুপুরে ৩টি ইউনিয়নের লোক শালিসে বসার কথা। তাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে অপেক্ষা করছি।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন ভূইয়া জানান, এই মর্মে কোনো সংবাদ বা অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। -সময়ের কন্ঠস্বর