গর্ভে প্রেমিকের চার মাসের যমজ সন্তান নিয়ে অন্যত্রে বিয়ে হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর স্বামী সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন এক তরুণী। এখন ওই তরুণী গত বুধবার থেকে বিয়ের আগের প্রেমিক মজনু মিয়ার (২৬) বাড়িতে অবস্থান করে স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি তুলেছেন। এই ঘটনায় গত শনিবার রাতে ওই নারীর বাবার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মজনু মিয়ার মাকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পাশের গ্রামে বিয়ে হয় ওই নারীর। বিয়ের চার মাস পর বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর স্বামীর বাড়ি ফেরেননি তিনি। গত ২১ জুলাই তিনি যমজ দুই ছেলে সন্তানের মা হলে এখন তার স্বামীও এখন মেনে নিচ্ছেন না।
এরপর গত বুধবার থেকে স্ত্রীর অধিকার ও যমজ সন্তানদের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে বিয়ের আগের প্রেমিক মজনু মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। কিন্তু মজনু ও তাঁর পরিবারের লোকজন এই ঘটনা মেনে না নেওয়ায় ওই নারীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মজনুর মাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মজনু ও তাঁর পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন।
ওই গৃহবধূর বর্তমান স্বামী জানান, আমাদের বিয়ের বয়স প্রায় ছয় মাস। কিন্তু এরই মধ্যে সে যমজ দুই সন্তান জন্ম দিয়েছে। আমি ওই দুই সন্তানের পিতা নই।
এদিকে গৃহবধূর দাবি, বিয়ের আগে মজনু মিয়া তাঁকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই দুই যমজ সন্তানের বাবা মজনু। গত বুধবার থেকে তিনি ও তাঁর সন্তানদের অধিকারের দাবিতে মজনুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। কিন্তু মজনুর পরিবারের কেউ তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের মেনে নিচ্ছে না। উল্টো বাড়ি থেকে তাঁকে মারপিট করে টেনেহিঁচড়ে বের করে দিতে চাইছেন। তবে প্রতিবেশীরা এতে বাধা দিচ্ছেন।
ওই গৃহবধূর মা জানান, তাঁর গর্ভের সন্তানের বিষয়ে জানা ছিল না। শরীর দেখেও আমি তা বুঝতে পারিনি। তাই বিয়ে দেওয়া হয়। এখন বিষয়টি নিয়ে আমরা জিজ্ঞাসা করলে মজনু ওই যমজ সন্তানের পিতা বলে জানায়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, তবে ওই সন্তান দু’টির পিতৃত্বের ব্যাপারে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া আগেই কিছু বলা যাবে না।
সূত্রঃ অনলাইন