বিশ্ব দরবারে আরেকবার উড়লো লাল-সবুজের পতাকা। কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে কুয়েত আন্তর্জাতিক কেরাত ও হেফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কিশোর হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া অর্জন করেন চতুর্থ স্থান। এ গৌরব বাঙালি জাতিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিল।
১৩ এপ্রিল 'কুয়েত অ্যাওয়ার্ড' নামে পরিচিত এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ। সপ্তম আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় ৫৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।
এটাই জাকারিয়ার প্রথম সাফল্য নয়, এর আগে গত বছরের এপ্রিলে মিসরের কায়রোতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৫০ হাজার পাউন্ড জিতে নেন মুহাম্মদ জাকারিয়া।
একই বছর হাফেজ জাকারিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে তৃতীয় ও সুর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন।
গতকাল বুধবার ছিল প্রতিযোগিতার শেষদিন। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের বিচারমন্ত্রী, আওকাফ ও ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিভিন্ন মুসলিম দেশে রাষ্ট্রদূতরা।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি কিশোর হাফেজ জাকারিয়া ৩০ পারা কোরআন হিফজ গ্রুপে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন।
পুরস্কার হিসেবে তিনি ৭ হাজার কুয়েতি দিনার ও সম্মাননাপত্র লাভ করেন। কুয়েতে অনুষ্ঠিত কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ সফলতা তার।
কুয়েতের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান লাভ করেন লিবিয়ায় প্রতিযোগী। এরপর যথাক্রমে সৌদি আরব ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করেন। সমাপনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে জনপ্রিয় বিভিন্ন আরবি চ্যানেল।
১৪ বছর বয়সী হাফেজ জাকারিয়া গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে তৃতীয় ও সুর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। হাফেজ জাকারিয়া কাতার, জর্ডান ও মিসরের কোরআন হেফজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন।