পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষের পথে। এই মাসে ভোজনরসিক বাঙালির খাবারের তালিকায় অনেকটাই পরিবর্তন আসে। আবার এই এক মাস নির্দিষ্ট একটি নিয়মে চলার পর হুট করেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই রমজান শেষে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১. ঐতিহ্যগতভাবেই রমজান মাসে ভাজাপোড়া খাবার একটু বেশি খাওয়া হয়। এছাড়া সেহরি ও ইফতারেও অনেকেই একটু কিছুটা বেশি খাবার গ্রহণ করেন। এরফলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। রমজান শেষে হলেই এই ওজন কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত।
২. রোজায় অনেকেরই অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। তাই রমজান শেষ হওয়ার পরই খাবার নিয়ন্ত্রণ করে রুটিন অনুযায়ী ঘুমানো উচিত।
৩. রমজান শেষে লিপিড প্রোফাইল, ব্লাড গ্লুকোজ, সিরাম ক্রিয়েটিনিন, সিরাম ই্যলেক্ট্রোলাইট ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো।
৪. পুরোটা রমজান জুড়েই হয়তো আপনি রুটিন থেকে বিচ্যুত হয়ে একদিনও হাঁটেননি। তবে রমজান শেষ হওয়ার পর আবারও হাঁটা শুরু করুন।
৫. রোজার পর হালকা সহজ-পাচ্য খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীর অনেক ভালো থাকবে।
৬. অনেকেরই রোজায় ওজন একটু কমে যায়। তারা রোজার পরপর নিয়মিত দুধ, ডিম, কলা ও মাছ খেলেই ওজন বাড়বে।
পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।