প্রেমের অনুভূতি এক অদ্ভুত অনুভূতি। প্রেমে পড়লেও জ্বালা আবার এর স্বাদ না নিলেও যেন মন ভরে না। তাই প্রায় সবাই প্রেমের স্বাদ পেতে চায়। কিন্তু প্রেম করে বিয়ে করতে গেলেই বিপদ। বাড়িতে রাজি হচ্ছে না। হয় এপক্ষ থেকে গোলমাল, নয়তো ওই পক্ষ থেকে।
কিছুতেই বাড়ির মত পাওয়া যাচ্ছে না। আবার বাবা মায়ের অমতে বিয়েও করা যাচ্ছে না। এমন সমস্যায় হয়তো অনেকেই পড়েছেন। কেউ কেউ চেষ্টার পর চেষ্টা করে বাবা মায়ের মত নিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কেউ এখনও চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছেন। তাদের জন্য রইল কিছু টিপস।
১) এমন ক্ষেত্রে সবার আগে দরকার মাকে সপক্ষে আনা। তার সবচেয়ে ভালো রাস্তা আলোচনা। এমন অবস্থায় যদি আপনি মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করেন, পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। তাই মাথা ঠান্ডা রাখুন। যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন। দরকার পড়লে আবেগেরও প্রয়োগ করতে পারেন। তবে তারও আগে তাদের বক্তব্য শুনুন মন দিয়ে। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।
২) বোঝার চেষ্টা করুন সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়টা আপনার বাবা মাকে ভাবাচ্ছে। অনেক সময় মেয়েরা চাকরি করলে বাবা মায়ের ভাবনা হয়। তারা মনে করে সে হয়তো বাড়িতে ঠিকমতো সময় দিতে পারবে না৷ এমন হলে তাদের বোঝান। আবার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড চিন্তার বিষয় হয়। কোনো উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের বধূ হতে গেলেই সমস্যা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মনে স্বভাবতই আশঙ্কা কাজ করে। এমন হলে আপনাকে বোঝাতে হবে, এটা কোনো সমস্যাই নয়।
৩) বাবা মায়ের মন জয় করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র তাদের মতের বিরুদ্ধে না যাওয়া। যখন হাজার বুঝিয়েও দেখছেন, কাজ হচ্ছে না, সরাসরি বলে দিন আপনি তাদের মতের বিরুদ্ধে বিয়ে করবেন না। তাতে যাই হয়ে যাক। দেখবেন, বরফ এতে গলবেই।
৪) বোঝানোর জন্য উদাহরণ সবচেয়ে ভালো। দরকার পড়লে উদাহরণ টানুন। দেখান, বাস্তব অনেক আলাদা।
৫) বিবাহিত বন্ধুদের সঙ্গে মাকে আলাপ করান। তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন, আদতে তিনি যা ভাবছেন, তা ভুল৷ এক্ষেত্রে আপনি নিজে কিন্তু কিছু বলবেন না। উনি নিজেই বুঝবেন। শুধু ওনাকে সময় দিন।
৬) প্রেমিকাকে মায়ের সঙ্গে পরিচয় করান। প্রয়োজনে তাকে বলুন মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে যেতে। রেস্তোরাঁয় যেতে। যেভাবে হোক মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে। তাহলেই আপনার মায়ের ভয় কেটে যাবে।
৭) ফ্যামিলি লাঞ্চের প্ল্যান করুন। এতে দুজনের পরিবার কাছাকাছি আসতে পারবে। আপনাদের রাস্তাও পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হবে।
৮) ছেলের বিয়ের সময় বাবা মায়ের মনে একটা ভয় থাকেই। ছেলে ঠিক মেয়েকে পছন্দ করছে তো? পরে কোনো সমস্যা হবে না তো? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় অপেক্ষা করুন। মায়ের ভয় তো থাকবেই৷ কিন্তু তিনি যখন নিজের চোখে দেখবেন, কোনো সমস্যা হচ্ছে না, তিনি নিজেই মত দিয়ে দেবেন।