আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস আমাদের চরিত্র সম্পর্কে অনেক কিছুই জানায়। কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত্ কেমন হতে চলেছে, তাও জানা যায় আমাদের প্রতিদিনের নানা অভ্যাস থেকেই। কী ভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১. বাথরুম ব্যবহারের পর তা নোংরা রেখেই বেরিয়ে যান? বাথরুমের মেঝেতে ছড়িয়ে রাখেন ভেজা জামাকাপড়? আপনি কিন্তু আপনার কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থানকে দুর্বল করে তুলছেন, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে আপনার ক্যারিয়ারে।
২. হাঁটার সময় জুতো ঘষে হাঁটার অভ্যাস থাকলে এখনই বদলান। এর ফলে রাহুর কুদৃষ্টি পড়বে আপনার জীবনে।
৩. খাওয়ার পর এঁটো বাসনপত্র টেবিলেই রেখে উঠে পড়েন? অন্য লোকে আপনার এঁটো বাসন তোলে? এর অর্থ জীবনে সাফল্য পেতে আপনার চেষ্টা নামমাত্র। শনি এবং রাহুর কুপ্রভাব নিজেই নিজের জীবনে টেনে আনছেন আপনি।
৪. বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে প্রথম কাজ হওয়া উচিত হাত, পা, মুখ ভালো করে ধোওয়া। এটা না করা যে শুধু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, তাই নয়, এর ফলে দুর্ভাগ্যকেই সঙ্গে টেনে আনছেন আপনি।
৫. নামাজ বা প্রার্থনার জায়গা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন।এখান থেকেই ঘরে পজিটিভ এনার্জি বাহিত হয়। কিন্তু অপরিচ্ছন্ন করে রাখলে আপনার কুণ্ডলীতে তার খারাপ প্রভাব পড়বেই।
৬. বাড়িতে কেউ আসলে তার এনার্জির সঙ্গে আপনার এনার্জির একটা সংঘাত বাধে। তাই প্রাচীন শাস্ত্র অনুসারে অতিথিকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আপ্যায়ন করলে তাঁর শরীরের তাপ কিছুটা ঠাণ্ডা হয় এবং এর ফলে রাহু দোষ ও কালসর্প দোষের প্রভাব স্তিমিত হয়।
৭. জুতো যদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনার জীবনে অনেক সমস্যা অপেক্ষা করে রয়েছে। এর ফলে আপনার শত্রুসংখ্যা বাড়বে এবং মানুষ আপনাকে অশ্রদ্ধা করবে।
৮. যারা প্রতিদিন গাছের গোড়ায় পানি দেন তাঁদের পরিবারে কখনও কোনও সমস্যা উপস্থিত হয় না।
৯. ঘুম থেকে ওঠার পর যাঁদের নিজেদের বিছানা গুছিয়ে রাখার অভ্যাস নেই, তাঁরা কোনও কিছুতে ঠিকমতো ফোকাস করতে পারেন না। তাঁদের কর্মজীবনে উন্নতি হওয়াও মুশকিল।