সাধারণত আমরা যখন খাই তখন গলার মধ্যে এক ধরনের তরুণাস্থি আছে যাকে আলজিহ্বা বা হিসেবেই আমরা চিনি সেটা খাদ্যকে শ্বাসনালীতে ঢুকতে বাধা দেয়। যখনই এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে তখনই শ্বাসরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়। বড়দের চেয়ে শিশুরাই এ ধরনের ঘটনার শিকার বেশি। আর তাই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরে যাওয়ার ঘটনা শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
▶উপসর্গগুলো
১. রোগী তার গলা পরিষ্কার করতে চেষ্টা করবেন এবং তিনি কথা বলতে পারবেন না।
২. রোগী খুবই অস্থির থাকেন এবং যন্ত্রণায় ছটফট করেন।
৩. ঠিকমতো শ্বাস নিতে না পারায় রোগী অনেক সময় মূর্ছা যায়।
▶জরুরি ভিত্তিতে যা করণীয়
১. অনেক সময় প্রচণ্ড জোরে কাশলে বস্তুটি গলা থেকে বের হয়ে যায়। আর যদি তা না হয় তাহলে এক হাতে পেঁচিয়ে ধরে তার মাথা নিচু করে অন্য হাতের গোড়া দিয়ে রোগীর দুই কাঁধের মাঝখানে শক্ত করে চাপড় মারুন।
২. যদি ওপরের প্রক্রিয়ায় কাজ না হয় তাহলে বসা অথবা দাঁড়ানো যেকোনো অবস্থায়ই পেটে চাপ দিন। যদি তার পরও শ্বাসনালী বন্ধ থাকে, আবারো রোগীর দুই কাঁধের মাঝখানে চাপড় দিন।
৩. যদি রোগীর শ্বাসনালী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং তার মুখে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দেয়ার পরও তার ফুসফুসে বাতাস না পৌঁছায় তাহলে আপনাকে বস্তুটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে।
৪. যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।