ওকলার ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ এর তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বের ১২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম, অর্থাৎ নিচের দিক থেকে থার্ড। কিন্তু এই যে আমাদের দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি এত কম, এটারও কিন্তু ইতিবাচক দিক আছে।
▶ফোন কলের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে
রাত বাড়লেই রাজধানীসহ সারা দেশের প্রেমিক সমাজ ইন্টারনেটভিত্তিক নানা রকম কলের দিকে ঝুঁকছে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারের কলিংয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রেমিক-প্রেমিকারা। হারিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোনে কথা বলে প্রেমের সেই রাতগুলো। তাই ফোনকল শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
▶প্রশ্নফাঁস রোধে
দেশের পাবলিক পরীক্ষার সিজনে দেশে দেখা দেয় প্রশ্নফাঁস নামক ব্যাধি। যেই ব্যাধির সংক্রমণে অত্যন্ত তীব্র ভূমিকা রাখে মোবাইল ইন্টারনেট। প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারকে সহায়তা করতে মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে নিজেদের জায়গা থেকেই উন্নয়নের ক্ষুদ্র চেষ্টা চালাচ্ছে এ দেশের মোবাইল অপারেটররা।
▶ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
দেশে কয়েক বছরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্রডব্যান্ড শিল্পের অমিত সম্ভাবনা। যা দেশীয় ইন্টারনেটের জন্য খুলতে যাচ্ছে উজ্জ্বল সম্ভাবনার দুয়ার। এই শিল্পে উৎসাহের জোগান দিতে নিজেদের ইন্টারনেট স্পিড বহুগুণে কমিয়ে ব্রডব্যান্ড শিল্পকে দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে অপারেটররা।
▶অনলাইন পোর্টাল বন্ধে
দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে গেছে নানা রকম ভুয়া অনলাইন পোর্টাল। এসব অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা সবার সামাজিক দায়িত্ব। ইন্টারনেট অপারেটরা অবশ্য নিজেদের কাঁধে এসব দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন মহান ব্রত হিসেবে। যেহেতু আমাদের ওয়েব্জগতের পাঠকদের মধ্যে মোবাইল ইউজার সংখ্যা প্রচুর, তারা ইন্টারেনেটের গতি কমিয়ে রেখে বন্ধ করতে চাচ্ছেন এসব পোর্টাল।
▶গ্রাহকদের পয়সা বাঁচাতে
বেশি স্পিড মানে বেশি খরচ। আর গ্রাহকের বেশি পয়সা খরচ করাতে কে চায় বলুন! তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পয়সা বাঁচাতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমই রাখা হয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা ১০ মেগাবাইটে সারা মাস চালিয়ে নিতে পারবে। পুরাই শায়েস্তা খাঁর আমল বলা যেতে পারে, নাকি?