আয়নার সামনে দাঁড়ালে বাচ্চাটা কেঁদে উঠত। মাথার চুলগুলো সব এক এক চলে গিয়েছে ক্যানসারের করাল গ্রাসে। জীবন কী, তা ঠিক করে জানার আগেই মৃত্যুকে জানতে শিখে গিয়েছে পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটা। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা এইলেড প্যাটারসন আসলে দুরারোগ্য নিউরোব্লাস্টোমাতে আক্রান্ত।
একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে সে। তার চারপাশের প্রিয়জনেরা যেন সেই পরিণতিকে আরও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই তাঁরা চেয়েছিলেন শেষের সেদিনগুলো এইলেডের ভালো কাটুক, আরও একটু আনন্দে, আরও একটু ভালবাসায়, ভাললাগায় কাটুক। আর এইলেড, সে কী চেয়েছিল, জানেন?
বিয়ে করতে চেয়েছিল পাঁচ বছরের মেয়েটি। নিজের প্রিয় বন্ধু বা ছোট্ট প্রেমিক, ছ-বছরের হ্যারিসন গ্রিয়ারকে। সেই চাওয়া মিলে গেল সবার চাওয়াতে। দুই পরিবারের সম্মতিতে, গ্রিয়ারকে সারা জীবনের জন্য পাশে পেল এইলেড। একটা সুন্দর স্বপ্নসন্ধ্যায় এক হল চার হাত। হ্যারিসন এর আগে কখনও কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়নি।
তাই নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিটা মুহূর্ত নতুন ছিল তার কাছে। বিয়ের অনুষ্ঠানেও ছিল অনেক চমক, শুধুমাত্র এইলেডের জন্য। গোলাপি ফ্রকে ছোট্ট পরীর মতো এইলেডকে তাঁর জীবনের গল্প পড়ে শোনান তাঁর মা গেইল প্যাটারসন। সেই গল্পে ছিল একটা অদম্য লড়াই এর কাহিনি। একটা হার না মানা জীবনের আখ্যান, একটা শুরু হয়েই শেষ হতে চলা পথের কথা।
সেই পথ এবার এগোক নতুন পথিককে সাথে নিয়ে। এক সাথে জীবন কাটাক এইলেড আর হ্যারিসন। শুধু মনের কোনও কোণায় পাক খাবে বোধহয় একটাই প্রশ্ন,’ জীবন এত ছোট কেনে’? -সংবাদ প্রতিদিন