থেকে থেকে বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু খুব একটা কমেনি। দিনের দৈর্ঘ্যও এখন প্রায় সর্বোচ্চ। তাই দীর্ঘ সংযমের পর ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজা-পোড়া বাদ দিয়ে ফলমূলে মনোযোগী হওয়া উচিত। তাই রমজানজুড়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ। আজ থাকছে সবার পরিচিত ফল কমলা—
রোগ প্রতিরোধ
এটি সাইট্রাস জাতীয় ফল। এর মূল শক্তি ভিটামিন ‘সি’। ২০১০ সালে চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ‘ফার্মাকোগনসি রিভিউস’-এ বলা হয়, আবর্জনা ও বিষাক্ত উপাদান কোষ থেকে ছেঁকে বের করে আনার কাজ করে এই ভিটামিন। বিষাক্ত উপাদানগুলো ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো ক্রনিক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই শেষ অবধি এসব ক্রনিক অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম কমলা। তাই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সাধারণ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে ইফতারেও রাখতে পারেন এই ফল।
ত্বক
ভিটামিন ‘সি’ মানেই ত্বকের দারুণ যত্ন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আর দূষণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিটামিন ‘সি’ শরীরের কোলাজেনের উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
কোলেস্টেরল
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক কমলা। ‘নিউট্রিশন রিসার্চ’ সাময়িকীতে ২০১০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, টানা এক বা দুই মাস কমলার রস পান করলে দেহের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল বের হয়ে যায়।
হৃদযন্ত্র
কমলার ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার, পটাসিয়াম আর কোলাইন হৃদযন্ত্রের যত্ন নেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন চার হাজার মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণ করেন, তাঁদের হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯ শতাংশ কমে আসে। কমলায় যে পটাসিয়াম মেলে, তা উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হজম ও ওজন
কমলা হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করে। মলের পরিমাণ বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভরসা রাখতে পারেন এই ফলে।
দৃষ্টিশক্তি
ভিটামিন ‘এ’ পাবেন এই ফলে। লুটেইন, বেটা-ক্যারোটিন আর জিয়াজানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েডও রয়েছে। এসব উপাদান বয়সজনিত চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ভিটামিন ‘সি’ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এটি ডিএনএ মিউটেশন ঠেকিয়ে দিয়ে ঢাল হয়ে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফল শিশুদের লিউকোমিয়া থেকে বাঁচায়।