তীব্র এক মাথাব্যথার নাম মাইগ্রেন। সাধারণত এটি মাথার একদিকে হয় বলে এটি আধকপালি মাথাব্যথা হিসেবেও পরিচিত। তবে মাথার দু’পাশে বা পুরো মাথায় কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে। বমি এবং দৃষ্টিতে সমস্যা মাইগ্রেনের মাথাব্যথার অন্যতম লক্ষণ।
বংশগত কারণে ৫০ শতাংশ মাইগ্রেন হয়ে থাকে।
কোনো কারণ ছাড়াই কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস পরপর মাইগ্রেনের ব্যথা হয়ে থাকে। কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত মাথাব্যথা চলতে থাকে।
কারো কারো ক্ষেত্রে চকোলেট, পনির বা এলকোহল সেবনের ফলে ঘন ঘন মাইগ্রেনের ব্যথা হয়ে থাকে।
এছাড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বডিও কারো কারো ক্ষেত্রে এই রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায়ষ চিকিৎসায় মাইগ্রেনের পরিপূর্ণ নিরাময় সম্বভ নয়। যখন ব্যথা হয় তখন চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ সেবন করলে রোগী ভালো থাকেন।
চকোলেট, পনির, এলকোহল, ধূমপান এড়িয়ে চললে ঘন ঘন মাথাব্যথা কিছুটা হলেও কম হবে।
এ ছাড়া ঘন ঘন মাথাব্যথা থাকলে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও বন্ধ রাখতে হবে।ষ প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে।
স্ট্রেস বা টেনশন, দুশ্চিন্তা থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে মেডিটেশন ধ্যান আপনাকে চমৎকার সাহায্য করতে পারে।
তীব্র রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেডিটেশন বা ধ্যানের কোর্স করে নিয়মিত দু’বেলা মেডিটেশনই একমাত্র মাইগ্রেনের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। আগে প্রতি মাসে তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতেন এমন অনেকেই আজ মেডিটেশন করে পুরোপুরি সুস্থ আছেন। সুন্দর জীবনযাপন করছেন।