কুসংস্কারের অন্যতম এক ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ। এক দম্পতিকে ৫ কেজি সোনা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁদের নাবালিকা কন্যাকে খুন করে, তার মরদেহকে ধর্ষণ করল এক ওঝা।
কনৌজের সোনা ব্যবসায়ী ৫৫ বছর বয়সি মহাবীর প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী পুস্পা ওঝার প্রতিশ্রুতি মতো সোনা না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বলেন, কৃষ্ণ শর্মা নামে ওই ব্যক্তি তাঁর ১৫ বছরের মেয়ে কবিতাকে অপহরণ করেছে।
পুলিশের জেরার মুখে কৃষ্ণ জানায়, বাবা-মায়ের অনুমতিতেই সে মেয়েটিকে খুন করেছে। তাঁর দেওয়া বয়ান শুনলে হাড়হিম হয়ে যায়।
সে জানিয়েছে, বেশকিছুদিন ধরেই আর্থিক অনটন চলছিল সোনা ব্যবসায়ী মহাবীরের। তাঁর চালক হিসেবে কর্মরত কৃষ্ণ প্রসাদ দম্পতিকে বুঝিয়েছিল যে তাঁরা তাঁদের মেয়েকে বলিদান দিলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাটিতে পুঁতে রাখা ৫ কেজি সোনা পাবেন।
কৃষ্ণর কথা শুনে মঙ্গলবার রাতে তারা সবাই মিলে কবিতাকে নিয়ে অন্নপূর্ণা মন্দিরে গিয়ে পুজো শুরু করে। কৃষ্ণ পুলিশকে জানিয়েছে, প্রায় অবচেতন কবিতাকে পুজোর নিয়ম মেনে তার বাবা-মার সামনেই নগ্ন করা হয়।
এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় পাশের এক মাঠে। বাবা-মাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মৃতদেহটি লোপাট করার অছিলায় তাকে ধর্ষণ করে কৃষ্ণ। এরপর কবিতার গলা কেটে রক্ত বের করে তা দেবতাকে উত্সর্গ করা হয়।
কনৌজের ASP কেশব গোস্বামী জানিয়েছেন, পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আটক করা হয়েছে মেয়েটির বাবা-মাকে। আরও একটি মেয়ে রয়েছে প্রসাদ দম্পতির। যেখানে কবিতাকে খুন করা হয় তার ২ কিলোমিটার দূরেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। -ইন্ডিয়া টাইমস