সাধনা ও সংযমের মাস রমজান। এই মাসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। খাদ্যাভ্যাস বছরের অন্যান্য দিনের মতো না হলেও কাজের ক্ষেত্রে হিসেবটা আগের মতোই থাকে। অর্থাৎ অফিস কিংবা ক্লাস- সবকিছুই করতে হয়। সবাই চান বাসায় ফিরে একসঙ্গে ইফতার করতে। কিন্তু
অনেকক্ষেত্রে অফিসেই ইফতার করতে হয় অনেককে।
অনেকে আবার পরিবার ছেড়ে দূরে মেসবাড়িতে থাকেন। কেউবা হোস্টেল বা হলে থাকেন। তবে যে যেখানেই থাকেন, ইফতারের সময় সবাই যেন সবার আপনজন হয়ে যান।
বাড়িতে
সারাদিন যে যেখানেই থাকুক, ইফতারের সময়টাতে পরিবারের সবার সঙ্গে মিলে ইফতার না করতে পারলে যেন মনটাই খারাপ হয়ে যায়। কারণ সবারই প্রচেষ্টা থাকে দিনশেষে প্রিয় মানুষগুলোর হাসিমুখ দেখে ইফতার করতে। ঘরে তৈরি মজার সব খাবার সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খেলে তবেই না তৃপ্তি মেলে। বাড়িতে রান্নার দায়িত্ব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মায়ের ওপরেই থাকে। তবে রমজানে মায়ের পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও ইফতার তৈরি করতে পারেন। খাবারের যে পদটি আপনি ভালো তৈরি করতে জানেন, সেটি বানিয়েই সবাইকে চমকে দিন। তাতে করে মায়ের কষ্ট কিছুটা লাঘব হলো আবার আপনিও সবার প্রসংশা কুড়ালেন।
অফিসে
অফিস আমাদের দ্বিতীয় পরিবার। কারণ বাড়ির পরে সবচেয়ে বেশি সময় যে জায়গাটিতে থাকা হয়, সেটি আমাদের অফিস। অফিসের সহকর্মীরাই যেন আমাদের পরিবারের সদস্য।
অফিসে কাজের ব্যস্ততার মাঝে ইফতার করা যেন এক পবিত্র আনন্দ। সবাই মিলে ইফতার ভাগ-বন্টন করার আনন্দই আলাদা। এই দ্বিতীয় পরিবারটি পেয়ে অনেকেই ভুলে যান নিজের পরিবার ছেড়ে দূরে থাকার কষ্ট।
হোস্টেল কিংবা মেসে
অনেকেই পড়াশুনা কিংবা জীবিকা নির্বাহের কারণে পরিবার ছেড়ে দূরে থাকেন। যার কারণে তাদেরকে হোস্টেল কিংবা মেসে থাকতে হয়। আলাদা আলাদা পরিবার থেকে আগত হলেও রমজানে সবাই যেন একই পরিবারের হয়ে যায়। কারণ পরিবার থেকে দূরে থাকায় তারা নিজেদের মধ্যেই পরিবারের ছায়া খোঁজেন। ইফতারে সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার মধ্যেই যেন সব আনন্দ খুঁজে পাওয়া।