‘বেগুন’ সবজিটি কেউ পছন্দ করেন, আবার কেউ পছন্দ করেন না। স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি সাধারণত ভাজি বা রান্না করে খাওয়া হয়। এছাড়া কেউ কেউ বেগুনের দোলমা রান্না করে থাকেন। ভাজি এবং রান্না ছাড়াও বেগুন দিয়ে আরেকটি খাবার রান্না করা যায়। তা হলো মশলা বেগুন। ভাত বা পোলাওয়ের সাথে খেতে দারুণ লাগে মশলা বেগুন।
• উপকরণ
৬টি ছোট বেগুন
তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১/৪ চা চামচ মেথি
কারিপাতা
১টি পেঁয়াজ কুচি
১ কাপ তেঁতুলের পানি
১/২ চা চামচ গুঁড় (ইচ্ছা)
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
পেঁয়াজ টমেটোর পেস্ট
১টি পেঁয়াজ পাতলা করে কাটা
১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১টি টমেটো কুচি
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ জিরা
১ চা চামচ কাসমেরি মরিচের গুঁড়ো
১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
লবণ
পুরের জন্য
২ টেবিল চামচ তিল
১/২ কাপ নারকেল কুচি
১/৪ কাপ চিনা বাদাম
১ চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
লবণ
• প্রণালী
১। প্রথমে বেগুনের পিছনের অংশ চারকোনা করে হালকা করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট।
২। মাঝারি আঁচে প্যান গরম হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ, আদা রসুনের পেস্ট, হলুদের গুঁড়ো, টমেটো কুচি, ধনিয়া গুঁড়ো, কাশ্মিরি মরিচের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা, লবণ দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ২-৪ মিনিট রান্না করুন।
৩। পেঁয়াজ টমেটো নরম হয়ে এলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন।
৪। অন্য একটি পাত্রে তিল, নারকেল, চিনাবাদাম, মরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে এক মিনিট ভাজুন। তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৫। বেগুনের ভিতরে তিল নারকেলের পুর ঢুকিয়ে দিন। এবার এটি প্যানে ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন। বেগুনগুলো কিছুটা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।
৬। একই প্যানে সরিষা, মেথি, পেঁয়াজ, পেঁয়াজ টমেটোর পেস্ট দিয়ে দিন। মশলা তেল ছেড়ে দিলে এতে বেগুনগুলো দিয়ে দিন।
৭। তেঁতুলের পানি এবং গুড় দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৮। ব্যস হয়ে গেলো মশলা বেগুন।