ছুটির দিনগুলোতে একটু ব্যতিক্রমী খাবার খেতে চায় অনেকে। এজন্য অধিকাংশই আজকাল সহজ পথ হিসেবে রেস্ট্যুরেন্টকে বেছে নেন। তবে ঘরেই যদি ভিন্ন স্বাদের কিছু রান্না করা যায়, মন্দ কী? এতে অন্তত স্বাস্থ্যকরভাবে রান্নার বিষয়টা নিশ্চিত করা যাবে। পোড়া তেল দিয়ে রান্নার কোন সুযোগ নেই। সবার আগে তো স্বাস্থ্য, তাই নয় কি?
আর চিন্তাটা যদি এমন হয় তাহলে বাড়িতে রান্না করে ফেলতে পারেন মহারাষ্ট্রের বিশেষ রেসিপি 'মশলা ভাত'। ভারতের মহারাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় এটি। বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি এই খাবারটি মাছ অথবা মাংস দিয়ে খেতে দারুন। চাল দিয়ে ভিন্ন কিছু রান্না করতে চাইলে এই রেসিপিটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
উপকরণ
২-৩টি শুকনো মরিচ
১ টেবিল চামচ ধনিয়া
৩-৪টি গোল মরিচ
১ ইঞ্চি দারুচিনি
২-৩টি এলাচ
২টি লবঙ্গ
১ টেবিল চামচ জিরা
১/৪ কাপ নারকেল কুচি
২-৩টি রসুনের কোয়া কুচি
১ টুকরো আদা
১/৪ চা চামচ হিং
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২টি কাঁচা মরিচ
কারি পাতা
১টি পেঁয়াজ
১/৪ কাপ মটরশুঁটি
১ কাপ ভাত
২ কাপ পানি
১টি আলু ভাঁজা
লবণ
১০০ গ্রাম পটল
প্রণালী
১। প্রথমে লাল শুকনো মরিচ থেকে বীচি বের করে ফেলুন। এরপর একটি প্যানে মরিচ, ধনিয়া, গোল মরিচ, দারুচিনি, এলাচি, লবঙ্গ এবং জিরা দিয়ে ভাজুন। এরসাথে নারকেল কুচি দিয়ে দিন।
২। কিছুটা ভাজা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিন। গুঁড়ো হয়ে গেলে এতে আদা, রসুন, হলুদ গুঁড়ো, হিং এবং পানি দিয়ে দিন।
৩। আরেকটি প্যানে তেল গরম হয়ে আসলে এতে কাঁচা মরিচ, কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি, এবং ব্লেন্ড করা মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৪। তারপর এতে ভেজানো চাল, মটরশুঁটি, লবণ এবং পানি দিয়ে দিন।
৫। চাল সিদ্ধ হয়ে আসলে চুলার তাপ কমিয়ে এতে ভাজা আলু এবং ভাজা পটল কুচি হয়ে দিন।
৬। ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট রান্না করুন।
৭। পরিবেশন প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার মশলা ভাত।