পরিবেশ দূষণের অতি মাত্রার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অ্যাজমার সমস্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গোটা দুনিয়ায় অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি।
বিশ্বে প্রতি ২৫০টি মৃত্যুর একটির নেপথ্যে আছে অ্যাজমা। অ্যাজমায় আক্রান্তদের বুঝতে হবে, কোন অ্যালার্জিতে তাদের অ্যাজমা দেখা দেয়। এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
যেমন দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম করলে শ্বাস নিতে অনেক সময় কষ্ট হয়।
ধূলা, ক্ষুদ্র পরজীবী, পরাগ রেণু, তেলাপোকা ও যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে অ্যাজমা হতে পারে। শীতকাল ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়াও অনেক সময় দায়ী। তাই অ্যাজমা থেকে রেহাই পেতে যা করা উচিত আপনার।
পোষা প্রাণী থেকে দূরে থাকুন :
পোষা কুকুর, বিড়াল বা পাখির পালক ও লোমে অ্যালার্জির উপাদান থাকে। এতে শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদের সংস্পর্শে অনায়াসেই অ্যাজমা হয়। তাই অ্যাজমা থাকলে প্রাণি পোষার শখ বাদ দিতে হবে।
এয়ারফিল্টার :
অনেকেই বাড়িতে এয়ার পিউরিফিয়ার বা এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করেন। অ্যাজমার প্রভাব থাকলে এসব যন্ত্রে এয়ারফিল্টার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে ঘরের মধ্যে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকলে তা বেরিয়ে যাবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা :
বাইরে এত ধূলাবালি যে ঘরের ভেতরও সব সময় এর বিচরণ দেখা যায়। কাজেই বাসা বাসযোগ্য করে তুলুন। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন। নয়তো অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়বে।
মাস্ক :
বাইরের ধূলা-বালি থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। শুধু এ কাজেই অনেক উপকার মিলবে। আর যদি ভ্রমণের ওপর থাকতে হয়, তবে ভালো মানের একটি মাস্ক তো খুবই জরুরি।
পারফিউম :
সুগিন্ধ জাতীয় স্প্রে অ্যালার্জির উদ্রেক ঘটায়। তাই এসব কম কম ব্যবহার করাই ভালো। তাছাড়া কড়া গন্ধের কোনো সুগন্ধি দেহে লাগাবেন না।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন :
কোন ধরনের খাবারে আপনার অ্যালার্জি হয় ও অ্যাজমায় প্রভাব ফেলে, তা খেয়াল করুন। এসব খাবার বাড়িতেই আনবেন না। ভিটামিন সি এবং ই, বেটা-ক্যারোটিন, ওমেগা ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবেন বেশি বেশি।