আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। এ কারণে সুস্থ থাকার জন্য আনারস নিয়মিত খাওয়া উচিত। এ লেখায় তুলে ধরা হলো আনারসের কিছু উপকারিতার কথা।
১. পুষ্টির উৎস
আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও বেটা ক্যারোটিন। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২. আথ্রাইটিসের উপশম
আনারস আথ্রাইটিসের ব্যথা উপশম করতে ভূমিকা রাখে। এটি অস্থিসন্ধী ও মাংসপেশীর প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রয়েছে ব্রোমেলেইন নামে একটি এনজাইম। এটি আথ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
আনারসের ভিটামিন সি বহু রোগ প্রতিরোধে দেহকে প্রস্তুত করে। এছাড়া আরও কিছু ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে আনারস সার্বিকভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে
আনারসে প্রচুর আঁশ থাকলেও ফ্যাট নেই বললেই চলে। ওজন কমানোর জন্য আনারস জুস হিসেবে বা সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। জুস হিসেবে খেলে যেন বাড়তি চিনি দেওয়া না হয় সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে।
৫. মজবুত হাড়
আনারসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত বহু রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৬. দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায়
আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে এটি। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
৭. সুস্থ চোখ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। এটি নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকে চোখ।
৮. হজমশক্তি বৃদ্ধি
আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া যেতে পারে।
৯. সুস্থ রক্ত
দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় আনারস। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত জমে না এবং সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে।